Nabanna: নবান্ন অভিযানের আগে সতর্ক রাজ্য পুলিশ

আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন অব্যাহত। ডাক্তার,  আগামী মঙ্গলবার এই ইস্যুতে প্রথম নবান্ন(Nabanna) অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য জেলা থেকে একাধিক পুলিশ অফিসারদের তলব রাজ্য পুলিশের।থাকবেন ১৩ জন এসপি পদমর্যাদার আইপিএস অফিসার।১৫ জন অ্যাডিশনাল এসপি ডিসি রাঙ্কের পদমর্যাদার অফিসার। ২২ জন ডেপুটি এসপি তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার র‍্যাংকের অফিসার।

এসআই, কনস্টেবল-সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার মিলিয়ে দু-হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যই নবান্ন অভিযানের দিন এত সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাওড়া পুলিশ কমিশনারের অধীনে এই ফোর্স থাকবে বলেই জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। ২৬ তারিখের মধ্যেই এই ফোর্স হাওড়ায় ঢুকবে।  ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজি নবান্ন অভিযান নিয়ে বৈঠক করেছেন বলেও সূত্রের খবর। নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আইন আইনের পথে চলবে, কিন্তু রাজ্যকে একটা বিষয় দেখতে হবে, যাতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বাধা দেওয়া না হয়। যেন প্রতিবাদ করতে দেওয়া হয়। আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদ করা যাবে৷ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রতিবাদ সংগঠিত করা যাবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে কোনও রকম পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।”

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এদিন একের পর এক প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য প্রশাসন। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তাঁর সওয়ালে বলেন, “ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় সিবিআই প্রবেশ করেছে। সব কিছু বদলে গিয়েছে।” পাল্টা রাজ্যের তরফে বলা হয়, “কিছু বদলে যায়নি। সব কিছুর ভিডিওগ্রাফি রয়েছে।” আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তের মেডিক্যাল রিপোর্ট কোথায়, সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি। জবাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানায়, রাজ্য তাদের হাতে এটা দেয়নি। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, কেস ডায়েরির মধ্যে সব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ‘নবান্ন অভিযান’ নিয়ে আবেদনও করা হয় রাজ্যের তরফে।

Exit mobile version