মদনমোহন সামন্ত, কলকাতা, 18 এপ্রিল : রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলাতে নিজেদের মতো করে চেষ্টা করলেও নানা বিষয়ে বিস্তর খামতি থেকে যাচ্ছে, এই অভিযোগে বাম এবং কংগ্রেস দল যৌথভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল। প্রথমে ঠিক ছিল এন্টালী মার্কেটের সামনে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন শনিবার দুপুরের পর। শনিবার দুপুরে লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ রাকাতে সেই বিক্ষোভ কর্মসূচি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রেড রোড সংলগ্ন ড: বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে। সেখানে বিভিন্ন বাম দলের নেতৃবৃন্দ, সাংসদ, বিধায়করা পরস্পরের থেকে বিধিসম্মত নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে হাতে পোস্টার ধরে তাদের প্রতীকী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। সন্দেহভাজন রোগীর লালারস নমুনা পরীক্ষা, করোনাতে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ও তথ্য গোপন করা, রেশন বণ্টনে অব্যবস্থা, অন্য রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রাসাচ্ছাদনের নির্দিষ্ট উপায় না করা, ইত্যাদি বিষয়ে সন্তোষজনক কোন পদক্ষেপ তারা দেখতে পাচ্ছেন না।এই মর্মে এই ধরনের নানা পোস্টার নিয়ে চলছিল তাদের নীরব বিক্ষোভ।
আধঘন্টার বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ হওয়ার মুখে পুলিশ এসে তাদের লকডাউন বিধি ভাঙার দায়ে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে থাকে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, সাংসদ মহম্মদ সেলিম সহ অন্যান্য বাম দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভ্যানে তুলে দিতে থাকে পুলিস। বিমান বসু এবং সুজন চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের সময় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বাম দলনেতাদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ সবাইকে গ্রেফতার করে এবং তারা যে গাড়িগুলিতে করে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থলে পৌঁছেছিলেন সেই গাড়িগুলিকে সিজ করে। বিষয়গুলি নিয়ে এবং গ্রেফতারি নিয়ে বাম শীর্ষ নেতৃবৃন্দ প্রত্যেকে সাংবাদিকদের কাছে তাদের উষ্মা প্রকাশ করেন।