অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ১০৮ বছরের বৃদ্ধ (Malda)। খুনের অভিযোগ তিনি ৩৬ বছর জেলবন্দি ছিলেন (Malda)। বাড়ি ফিরে নতুন করে সব শুরু করার স্বপ্ন দেখছেন বৃদ্ধ (Malda)। তিনি জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরে তিনি বাগান করবেন (Malda)।
দীর্ঘ ছত্রিশটা বছর সংশোধনাগারে কাটিয়েছেন মালদহের বাসিন্দা রসিক মণ্ডল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মঙ্গলবার তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে তাঁর বয়স ১০৪ নাকি ১০৮, সেই নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। বৃদ্ধের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁর বয়স ১০৪ বছর। এমকী আধার কার্ডেও সেই তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৃদ্ধ বলছেন, তাঁর বয়স ১০৮। তবে বয়স যাই হোক না কেন, ইতিমধ্যে তিনি শতবর্ষ পার করেছেন।
৩৬ বছর আগে রসিকের বিরুদ্ধে তাঁর ভাই সুরেশ মণ্ডলকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে রসিকের ভাই সুরেশ মণ্ডলকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ১৯৮৮ সালের ৮ নভেম্বর এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। সুরেশের পরিবার প্রথম থেকেই অভিযোগ করেছিলেন যে রসিক মণ্ডল এই খুন করেছেন। মানিকচক থানায় রসিক-সহ বেশ কয়েক জনের নামে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু হয়। তারপর শুনানির পর শুনানি শুরু হয়। সেই সঙ্গে রসিকের বন্দিদশা শুরু হয়। মাঝে অবশ্য কয়েক বছর জামিনে তিনি বাইরে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর ঠিকানা হয় মালদহ সংশোধনাগার। কারা আধিকারিকদের মতে রসিকই রাজ্যের প্রবীণতম বন্দি।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর জেলবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এই নিয়ম রসিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি। রসিকের পুত্র-পৌত্ররা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে দৌড়ান তাঁর মুক্তির জন্য। অবশেষে ২৯ নভেম্বর ১০৮ বছরের এই বৃদ্ধের জামিন মঞ্জুর হয়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে সেই জামিনের কাগজ মালদা সংশোধনাগারে এসে পৌঁছায়। তারপর মঙ্গলবার মুক্তি পান রসিক মণ্ডল। রসিকের ছেলে উত্তম মণ্ডল বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা ছিল। আমার বাবাকে মিথ্যা মামলার ফাঁসানো হয়েছে। আমার বাবাকে ৩৬ বছর বছর জেল খাটতে হয়েছে।