নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বাস৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক মহিলা সহ কমপক্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহতের সংখ্যা প্রায় ৪০ জন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বাসটি উদ্ধার করে৷ সেই সঙ্গে স্থানীয়বাসিন্দারা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করে আহতদের উদ্ধারের জন্য৷
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যা থেকে পূর্ব মেদিনীপুর ফিরছিল যাত্রীবাহী বসটি৷ সোমবার রাতে বাসটি ১৬নং জাতীয় সড়কে উড়িষ্যা জাজপুরে বারাবাটি ব্রিজের ওপর থেকে সটান নীচে পড়ে যায়৷ ওই বাসে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৪৭ জন৷ ঘটনায় এক মহিলা সহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪০ জন যাত্রী৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তিন জন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে৷ যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁদের নাম পরিচয় জানা যায়নি৷ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ধর্মশালা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহতদের কটকের এসসিবি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোর জেরেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। চিকিৎসা সহ অন্যান্য প্রয়োজনে ওড়িশায় যাওয়া যাত্রীরা এই বাসে করে পূর্ব মেদিনীপুরে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। বাসটির শেষ গন্তব্য ছিল নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যাণ্ডে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাসটি যাত্রী নিয়ে নন্দকুমারে আসার কথা ছিল।
স্থানীয়দের কথায়, ‘কালিয়াননা’ নামে একটি বাস রবিবার বিকেলে নন্দকুমার থেকে ছেড়ে উড়িষ্যার গিয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ সেটি পুনরায় উড়িষ্যার থেকে ছেড়ে নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যাণ্ডের উদ্দেশ্যে আসছিল। তবে পথে জাজপুরের কাছে সেটি ব্রিজ থেকে সটান নীচে পড়ে যায়। অভিজ্ঞ চালক হলেও কিভাবে এমন দুর্ঘটনা তা প্রশ্ন উঠেছে?
ইতিমধ্যে উড়িষ্যার সরকার আহত রোগীদের চিকিৎসার সমস্ত রকম দায়িত্ব বহন করছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতদেহগুলি দ্রুত ময়নাতদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরজন্য পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি এরাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।