ইতিমধ্যেই অমেঠি ও রায়বেরেলিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়ে গেছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। এখন এই বিষয়টির রাজনৈতিক তাৎপর্য অনুসন্ধান করার চেষ্টা চলছে। কংগ্রেস দল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনিয়া গান্ধী রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রায়বেরেলিতে প্রার্থী খোঁজা শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রায়বেরেলিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তিনি এখান থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। এরই মধ্যে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা শুরু হয়ে যায়। দলের কিছু নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পরিবর্তে রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রিয়াঙ্কা মুখে কুলুপ আঁটেন। প্রিয়াঙ্কার ঘনিষ্ঠদেরও উত্তর প্রদেশের রাজনীতি থেকে ধীরে ধীরে সরে যেতে দেখা যায়।
সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজনীতি নিয়ে তাঁর এবং রাহুল গান্ধীর মধ্যে কোনও ধরনের দ্বন্দ্ব চান না। এমন পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠদের স্পষ্ট করে দেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিনি যেকোনো সময় করতে পারবেন। তাঁর টিম রায়বেরেলির পাশাপাশি প্রয়াগরাজ, ফুলপুর, বারাণসী আসনগুলি জরিপ করার পরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা রিপোর্টটি আমল দেন নি। তখন থেকেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।
শুক্রবার সকালে কংগ্রেস হাই কমান্ডের তরফে আমেঠি থেকে কিশোরীলাল শর্মার নাম ঘোষণা হতেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। মূলত, কিশোরীলাল শর্মা পঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা। ১৯৮৩ সালের দিকে রাজীব গান্ধী তাঁকে প্রথমবার আমেঠিতে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে তিনি এখানেই থেকে যান। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর গান্ধী পরিবার যখন এখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বন্ধ করে দেয়, তখনও শর্মা কংগ্রেস দলের সাংসদের হয়ে কাজ চালিয়ে যান। কিশোরীলালকে কেবল সংগঠনের প্রতিই নয়, পরিবারের প্রতিও অনুগত বলে মনে করা হয়। রায়বেরেলি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর, তিনি সোনিয়া গান্ধীর প্রতিনিধি হিসাবে কাজ চালিয়ে যান। সোনিয়া গান্ধী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার পরে কিশোরীলালকে রায়বেরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, তবে কংগ্রেস রায়বেরিলির পরিবর্তে তাকে আমেঠি থেকে প্রার্থী করেছে।