মর্মান্তিক ঘটনার খবর পাওয়া গেল দিল্লির তিহার জেল (Tihar Jail) থেকে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ৩ নম্বর সেল-এ বন্দীদের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। যাতে একজন কয়েদি প্রাণ হারায়। নিহত কয়েদি কারাগারে সহায়ক হিসাবে কাজ করত, সংঘর্ষের কথা পুলিশের কাছে পৌঁছতেই তারা এসে দেহটি বাজেয়াপ্ত করে। জানা গিয়েছে, খাবার নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বন্দিদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন।
জেল আধিকারিকদের মতে, দুই বন্দীর মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়, তারপর তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। সেই সংঘর্ষের ফলেই এক একজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াও একই জেলে রয়েছেন। তবে, তিহার জেলে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত সপ্তাহে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩-৪ জন বন্দি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই সমস্ত বন্দিদের একই কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল, তারা একে অপরকে সূঁচ দিয়ে আক্রমণ করেছিল। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাদের চিকিৎসা করা হয়।
শুক্রবার প্রকাশ্যে আসা হিংসাত্মক সংঘর্ষে এক বন্দির মৃত্যুর পর, তিহারের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নিহত সহায়ককে কারাগারেই হাতে তৈরি অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়, যার ফলে বন্দি গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহগ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম দীপক, বয়স ২৪ বছর। দিল্লির শকরপুর এলাকার বাসিন্দা। একটি হত্যা মামলায় সে দোষী সাব্যস্ত হয়। ৪৪ বছর বয়সী আরেকজন কয়েদি আবদুল বশির দীপককে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।