রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কালবৈশাখীর (Kalboishakhi) দাপটে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পূর্ব বর্ধমানে পাঁচজন, পশ্চিম মেদিনীপুরে দুজন এবং পুরুলিয়া জেলায় দুজন নিহত হয়েছেন। নদিয়া জেলায় একটি দেয়াল ধসে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, অপরদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি গাছ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Profoundly sad to know that 9 persons died due to thunderstorms and lightning last night (5 in Purba Burdwan, 2 each in Paschim Medinipur and Purulia), while 2 more persons died due to wall collapses in Nadia and 1 more due to tree collapse in South 24 Parganas. Our district…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 7, 2024
প্রবল বৃষ্টির বজ্রপাতের কারণে ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন যে, রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নির্দেশিকা অনুযায়ী সহায়তা প্রদানের প্রক্রিয়াও তৈরি করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।
এদিকে, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাজ্যের ১১টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।