খবর এইসময়, নিউজ ডেস্কঃ গোটা দেশ যখন করোনায় জর্জরিত তখন লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চিনা সৈন্যদের অতর্কিত আক্রমণে শহীদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান।সেই রেশ কাটতে না কাটতে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের উপর হামলা করল জঙ্গিরা। আচমকা হওয়া এই জঙ্গিহানায় শহিদ হয়েছেন এক সিআরপিএফ জওয়ান। জানা গিয়েছে, অনন্তনাগের বিজেহেরায় রোজকার মতো নিরাপত্তাকর্মীরা টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই কিছু জঙ্গি বাইকে করে এসে ওই টহলদারি দলকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাস হামলা চালায়। জবাবে, নিরাপত্তা বাহিনী গোলাগুলি ছুঁড়তে শুরু করলে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। তবে তারই মধ্যে জঙ্গিদের চালানো গুলিতে ঘায়েল হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই জওয়ানের। পাশাপাশি সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় এক ১২ বছরের বালকেরও মৃত্যু হয়। এরপরেই গোটা এলাকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা জওয়ানরা।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই এলাকায় জঙ্গিদমন অভিযান চলছে। যৌথবাহিনীর তৎপরতায় গত সপ্তাহেই প্রায় এক ডজন জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়। গত রবিবারও শ্রীনগরে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী, সেই সময়ও নিকেশ হয় ৩ জঙ্গি। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি একে -৪৭ রাইফেল এবং দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। শ্রীনগরের জাদিবলের জুনিমার এলাকায় জঙ্গিরা আস্তানা গেঁড়ে রয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পেয়ে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
অনেক সময়ই এমন অভিযোগ উঠেছে যে, কাশ্মীরে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিদের বাইরে থেকে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তান। গত শনিবারই জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ার কাছে একটি অস্ত্র বহনকারী ড্রোনকে গুলি করে নামায় বিএসএফ। ওই পাকিস্তানি ড্রোনের ভেতর থেকে একটি এম-৪ আমেরিকায় তৈরি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬০ রাউন্ড বুলেট এবং সাতটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়। অনুমান, জম্মু ও কাশ্মীরে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিদের সাহায্যের জন্যেই পাকিস্তান থেকে ড্রোন মারফৎ ওই অস্ত্র জোগান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা ব্যর্থ করে দেয় বিএসএফ।
জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত সম্পর্কে এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ” নির্লজ্জভাবে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায় পাকিস্তানি এজেন্সিগুলো। কাশ্মীরের শান্তি ও শৃঙ্খলা ব্যাহত করার লক্ষ্যেই জঙ্গিদের মদত জোগাচ্ছে তারা”।