এ যেন একটা সিনেমার প্লট। ভোট কেন্দ্রে রুখে দাঁড়াল একটা ছোট্ট মেয়ে! সরকারী আধিকারিকে চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করল! বলল, ” দেখুন আমরা কী করে থাকি।” শুনতে অনেকটা গল্পের মতো লাগলেও বিষয়টা একদম সত্যি। চতুর্থ দফা ভোট (Lok Sabha Election 2024) গ্রহণের ঠিক চব্বিশ ঘণ্টা আগে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভোটের আগের দিনই তালা ঝুলল জামুড়িয়ার তপসী পঞ্চায়েতের যানবাজার আদিবাসী গ্রামের অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে! ঢুকতে পারলেনই না সরকারি আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের জামুড়িয়ার প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ে আছে। ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু অভিযোগ শোনার কেউ নেই। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার লোক আছে, তবে কথা রাখার কেউ নেই। ওই এলাকার বড় সমস্যা বিদ্যুতের লাইন। আলোই থাকে, সূর্য ডুবলেই অন্ধকার। পড়াশোনাও করতে পারে না গ্রামের বাচ্চারা। রাজ্য সরকারের কোন বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি গ্রামে। ইসিএলের বিদ্যুৎ ছিল তাও দীর্ঘদিন ধরে তা একেবারে লো ভোল্টেজ। অভিযোগ, সরকারি আধিকারিদের কাছে আবেদন করে কোন কাজ হয়নি। গরমে অন্ধকারেই তাঁদের দিন কাটে। কিন্তু তাঁরা ভোট বয়কট করবেন না। তাঁরা চান, ভোট হোক নিয়ম মেনে। সরকারি আধিকারিকরা একদিনের জন্য হলেও এই কষ্টটা উপলব্ধি করুন। যেন তাঁদের বার্তা উপরমহলে পৌঁছয়।
বিশাখা বাউড়ি নামে এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রীতিমতো বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সে বলল, “আমরা কোনও অফিসারের কথা শুনব না। এরকম অন্ধকারে থেকে দেখুক, কেমন লাগে। আমাদের একটাই কথা, লাইন লাগবে তো লাগবেই, ব্যস!” জানা গিয়েছে যে পোলিং অফিসারদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বচসা হয়। পুলিশও ঢুকতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরেই তালা ঝুলে থাকে যানবাজার আদিবাসী গ্রামের ওই বুথে।