মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ে হোডিং ভেঙে (Accident) মৃতের সংখ্যা বাড়ল। গতকাল মুম্বাইর ধুলোঝড়ে ঘাটকোপরে একটি বিলবোর্ড পড়ে যায়, যার ফলে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে এবং অনেক মানুষ হোডিংয়ের তলায় আটকা পড়ে যায়। ধুলোঝড় এবং বৃষ্টির সময় মুম্বাইয়ের ঘাটকোপর এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের উপর ১০০ ফুট লম্বা অবৈধ বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং পড়ে যায়, যার ফলে মৃতের সংখ্যা ১৪-এ পৌঁছেছে, এবং ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪৩ জনের এখনও চিকিৎসা চলছে এবং ৩১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
14 killed, 74 injured in this giant hoarding collapse in Mumbai’s dust storm yesterday.
The 17,000 sqft hoarding was listed in the Limca Book of Records last year. The BMC says it was illegal, unauthorised.
FOURTEEN lives gone & counting.
Banana republic. pic.twitter.com/uHqx0tW1in
— Shiv Aroor (@ShivAroor) May 14, 2024
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু হোর্ডিং ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘মুম্বাইয়ের ঘাটকোপর এলাকায় হোর্ডিং ভেঙে প্রাণহানির খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করছি।
#WATCH | Mumbai: The death toll in the Ghatkopar hoarding collapse incident has risen to 14. There were a total of 88 victims, out of which 74 were rescued injured: NDRF
(Morning visuals of the rescue operations from the spot) pic.twitter.com/vggAIlfY3g
— ANI (@ANI) May 14, 2024
ঘাটকোপর এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পে হোর্ডিং পড়ে গিয়ে ১৪ জনের মৃত্যুর পর ইগো মিডিয়ার মালিক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মুম্বাই পুলিশ। মালিক, ভবেশ ভিন্ডে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত হত্যা) ৩৩৮ (অন্যের জীবন বা ব্যক্তিগত সুরক্ষাকে বিপন্ন করে গুরুতর আঘাত করা) এবং ৩৩৭ (বেপরোয়া বা অবহেলা করে অন্য কোনও ব্যক্তিকে আঘাত করা) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে।
#WATCH | Mumbai: Ghatkopar hoarding collapse incident | Latest visuals of the rescue operations from the spot.
The death toll in the Ghatkopar hoarding collapse incident has risen to 14 pic.twitter.com/Rr0Qee6dHI
— ANI (@ANI) May 14, 2024
ঘটনার পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মুম্বাই শহরের সমস্ত হোর্ডিং কাঠামোর নিরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে যেখানে হোর্ডিংটি পড়েছিল এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে, নাগরিক সংস্থার এক প্রবীণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) কমিশনার ভূষণ গাগরানী পৌর সংস্থার সদর দফতরে দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের বলেন, বিএমসির অনুমতি না পাওয়ায় হোর্ডিংটি অবৈধ ছিল। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অবৈধ হোডিং ছিল। যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে রেলের জমিতে চারটি হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল এবং তার মধ্যে একটি পড়ে গেছে। বিএমসি এক বছর ধরে হোর্ডিং নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল।’