ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার ক্র্যাশ (Helicopter Crash) হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধার করা হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ খবর জানিয়েছে। হেলিকপ্টারে রাইসির সঙ্গে ছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রীও। হেলিকপ্টারটি পূর্ব আজারবাইজান অঞ্চলে হার্ড ল্যান্ডিং করে এবং একটি উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। কুয়াশা ও খারাপ আবহাওয়াই দুর্ঘটনার কারণ বলে জানা গেছে। এদিকে, কিছু স্থানীয় গণমাধ্যমও বলছে যে এখনও পর্যন্ত হেলিকপ্টারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি।
তেহরান টাইমস অনুসারে, ইরানি রাষ্ট্রপতির কনভয়ে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল, যার মধ্যে দুটি নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছেছিল, তবে একটি বিধ্বস্ত হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৫ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে আজারবাইজান সীমান্তের জোলফা শহরের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।
রবিবার ভোরে আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে রাইসি আজারবাইজানে ছিলেন। এটি দুই দেশের দ্বারা আরাস নদীর উপর নির্মিত তৃতীয় বাঁধ। ইরান দেশে বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার চালায়, কিন্তু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইসলামী দেশের পক্ষে এই হেলিকপ্টারগুলির যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এর সামরিক বিমান বহরও মূলত ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পূর্ববর্তী।
৬৩ বছর বয়সী রাইসি একজন কট্টরপন্থী, যিনি ইরানের বিচার বিভাগেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শিষ্য হিসাবে দেখা হয় এবং কিছু বিশ্লেষক পরামর্শ দিয়েছেন যে ৮৫ বছর বয়সী এই নেতা মারা গেলে বা পদত্যাগ করলে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন।