অলিম্পিকের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ভারতীয় শাটলার (Badminton) লক্ষ্য সেন এবং পিভি সিন্ধু যথাক্রমে ফ্রান্স এবং জার্মানিতে প্রশিক্ষণ নেবেন। ক্রীড়া মন্ত্রকের মিশন অলিম্পিক সেল (এমওসি) এই দুই ক্রীড়াবিদের আর্থিক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে। লক্ষ্য ফ্রান্সের মার্সেইতে ১২ দিনের প্রশিক্ষণের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছিলেন।
লক্ষ্য সেন প্যারিসে পুরুষদের সিঙ্গলস ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, অলিম্পিকের আগে ৮ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত হ্যালি ডেস স্পোর্টস পারচামেনে তাঁর কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের সাথে প্রশিক্ষণ নেবেন। সিন্ধুর প্রস্তাব ছিল জার্মানির সারব্রুকেনের হারমান-নিউবারগার স্পোর্টসচুলে প্রশিক্ষণ নেওয়া। প্যারিসে যাওয়ার আগে তিনি সেখানে তাঁর কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অনুশীলন করবেন।
মন্ত্রণালয়ের ‘টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম’-এর (টিওপিএস) আওতায় তাদের বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়ার খরচ, স্থানীয় পরিবহণ খরচ, ভিসা চার্জ, শাটলকক চার্জ অনুমোদন করা হয়েছে। বৈঠকে টেবিল টেনিস খেলোয়াড় শ্রীজা আকুলা এবং তীরন্দাজ তিশা পুনিয়ার সরঞ্জাম সংগ্রহের প্রস্তাব এবং বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য গল্ফার অদিতি অশোক এবং সাঁতারু আরিয়ান নেহরার সহায়তার অনুরোধও অনুমোদন করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘টিওপিএস তাদের বিমান ভাড়া, থাকার খরচ, স্থানীয় পরিবহণ খরচ এবং আরিয়ানের সরঞ্জাম ও আদিতির ক্যাডির খরচ বহন করবে। এমওসি টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হারমিত দেশাই এবং মহিলাদের ৪x৪০০ মিটার রিলে দলকে টিওপিএস কোর গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং কুস্তিগীর নিশা (৬৮ কেজি) এবং রিতিকা (৭৬ কেজি) কে কোর গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে।
এমওসি-তে উদীয়মান গল্ফার কার্তিক সিংকেও টিওপিএস ডেভেলপমেন্ট গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা যথাক্রমে লস অ্যাঞ্জেলেস (২০২৮) এবং ব্রিসবেনে (২০৩২) অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করবে।