বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত বুধবার একটি ধর্ষণ মামলায় জনতা দল (সেকুলার) নেতা প্রজ্জ্বল রেভান্নার (Prajwal Revanna) আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন আশা করা হচ্ছে যে রেভান্না দেশে ফিরে আসার সাথে সাথে বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। রেভান্নার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন মহিলাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জন্য বিশেষ আদালত রেভান্নার আইনজীবী অরুণের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। জেডি (এস) সুপ্রিমো এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ৪৭ বছর বয়সী এক মহিলাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, হাসান লোকসভা আসনে ভোট দিয়ে ২৭ এপ্রিল প্রজ্জ্বল জার্মানির উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং এখনও পলাতক রয়েছেন। এসআইটি (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম)-এর আবেদনে গত ১৮ মে একটি বিশেষ আদালত প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পরে, এসআইটি তার বাবা এবং জেডি (এস) বিধায়ক এইচ ডি রেভান্নাকে গ্রেপ্তার করে, যিনি এক মহিলাকে অপহরণের মামলায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।
সকলের নজর এখন বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে, যেখানে ৩১শে মে প্রজ্জ্বলের অবতরণের কথা। এসআইটি বিমানবন্দরে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এদিকে, প্রজ্জ্বলের মা ভবানী রেভান্না তাঁর স্বামীর সঙ্গে জড়িত অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় বিশেষ (নির্বাচিত প্রতিনিধি) আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন।
এসআইটি তাঁর আগাম জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছে। একই মামলায় এইচ ডি রেভান্নাকে দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন বাতিলেরও আবেদন করা হয়েছে। ভবানী রেভান্নার আগাম জামিনের আবেদনের আদেশ ৩১ মে-র জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি ৩১ শে মে বিশেষ তদন্ত দলের (এসআইটি) সামনে উপস্থিত হবেন, যা তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন মহিলার দ্বারা যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত করছে।
কন্নড় টিভি চ্যানেল এশিয়ানেট সুবর্ণ নিউজে প্রচারিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে প্রজ্জ্বল রেভান্না বলেছিলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে তদন্তে সহযোগিতা করতে এবং এই (অভিযোগের) জবাব দিতে শুক্রবার, ৩১ মে সকাল ১০ টায় সিট-এর সামনে উপস্থিত হব। আদালতের উপর আমার আস্থা আছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমি আদালতের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় আমার নির্দোষ হওয়ার প্রমাণ করব।’
সিট, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছ থেকে প্রজ্জ্বলের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল, যার জন্য ইন্টারপোল একটি ‘ব্লু কর্নার নোটিশ’ জারি করেছিল। এসআইটি আবেদন করার পর ১৮ মে সাংসদ/ বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলার বিচারের জন্য গঠিত একটি বিশেষ আদালত প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।