লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance) নেতারা আবার দিল্লিতে জড়ো হবেন। জোটের সব দলের নেতাদের আগামীকাল সন্ধ্যার পর বা পরশু খুব ভোরে দিল্লি পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সব দলই বৈঠকে সামিল হবে এবং পরবর্তী কৌশল তৈরি করবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ইন্ডিয়া জোটের সব নেতাকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। খোদ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সবাইকে কল করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ফলাফলের পর ইন্ডিয়া জোটের নেতারা ভবিষ্যতের কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন। প্রত্যাশা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে আসন পাওয়া গেলে অন্যান্য বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে। আসন সংখ্যা যদি প্রত্যাশিতভাবে না আসে, তাহলে প্রতিবাদ, সংবাদ সম্মেলন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক সহ অন্যান্য বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কৌশলও বিবেচনা করা যেতে পারে।
এর আগে, সপ্তম দফার ভোটের দিন অর্থাৎ ১ জুন ইন্ডিয়া জোটের সমস্ত নেতা দিল্লিতে জড়ো হয়েছিলেন। বৈঠকের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেন, নির্বাচনে কংগ্রেস ২৯৫টি আসন জিততে চলেছে। বৈঠকে কর্মকর্তাদের নির্বাচনের শংসাপত্র না পাওয়া পর্যন্ত কাউন্টিং হল থেকে বের না হতে বলা হয়। সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, কেসি ভেনুগোপাল, শরদ পাওয়ার, এনসিপি নেতা জিতেন্দ্র আওহাদ, এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, রাঘব চাড্ডা, সঞ্জয় সিং, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, কারাবন্দী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন ও অন্যান্যরা। বৈঠকে যোগ দেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলাফলের আগে, সোনিয়া গান্ধী সোমবার দাবি করেছেন যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল এক্সিট পোলের থেকে আলাদা হবে। আমাদের কেবল সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।