বিশ্বকাপে বাঁচামরার ম্যাচে কানাডার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান (Pakistan)। টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত বাবর আজমের দলের। ক্ষীণ সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে কানাডার বিরুদ্ধে বড় জয়ের বিকল্প নেই বাবর আজমের দলের। সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রতিটি ম্যাচেই বড় জয়ের সঙ্গে, গ্রুপের অন্যদলগুলোর ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে মেন ইন গ্রিনদের। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত ৯টায়।
যেন সুনামি বয়ে গেছে পাকিস্তান দলের ওপর দিয়ে। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আসা মেন ইন গ্রিনরা এখন গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কায়। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বিশ্বকাপ ঘিরে কতই না পরিকল্পনা সাজিয়েছিলো পিসিবি। কোচ পরিবর্তন, ফিক্সিংয়ের অভিযোগে জাতীয় দল থেকে বাতিলের খাতায় পড়ে যাওয়া পেসার মহম্মদ আমিরকে দলে ফেরানো। অনেক কিছুই করেছে পিসিবি।
কিন্তু ছন্নছাড়া পাকিস্তান বিশ্বকাপের শুরুতেই হোঁচট খায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। সুপার ওভারে হারের পর, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের বিরুদ্ধে হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে জয়। এখন গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার কালো মেঘ পাকিস্তান দলের মাথায়। তবে, খাদের কিনারায় থেকেও এখনও খরকুটো আকড়ে জেগে ওঠার স্বপ্ন বুনছে পাকিস্তান। ভারতের কাছে দু:স্বপ্নের হারের পর এবার তাদের সামনে কানাডা।
গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচের মধ্যে ২টি খেলে এখন পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট নেই পাকিস্তানের, পাঁচ দলের মধ্যে পয়েন্ট তালিকার অবস্থান চতুর্থ। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ভারত সবার ওপরে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থানে। আর ২ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে কানাডার অবস্থান তিন নম্বরে।
পাকিস্তান তাদের পরের দুটি ম্যাচ খেলবে কানাডা ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সুপার এইটে যেতে হলে শুধু নিজেরা বড় ব্যবধানে জিতলেই তো হবে না, পাকিস্তানকে চেয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলের দিকেও। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রর ফলাফলের দিকে আলাদা করে নজর দিতে হবে পাকিস্তানকে।
নানা সমীকরণ মিললেই শুধু সুপার এইটে জায়গা হবে বাবরদের। ১১ জুন কানাডার বিপক্ষে বড় জয় পেতে হবে পাকিস্তানকে। গ্রুপে ১২ জুন ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচে জিততে হবে ভারতকে। ১৪ জুনের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে হারতে হবে কানাডাকে। গ্রুপে ১৫ জুন পরের ম্যাচে ভারতের কাছে হারতে হবে কানাডাকে। আর ১৬ জুন আয়াল্যান্ডের বিপক্ষেও বড় জয় পেতে হবে বারবরদের।
এতসব যদি কিন্তুর পর আসবে নেটরানরেটের মারপ্যাচ। তবে, সবার আগে কানাডা ম্যাচেই চোখ থাকবে বাবর আজমের দলের।