চলতি টি২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি চমক দেখে ফেলেছে ক্রিকেট বিশ্ব। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় চমকটা দেওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল নেপাল। শুধু চমক বললে ভুল হবে, বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটনটাই ঘটাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞতার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না। শেষ বলে গিয়ে ইতিহাসের দুয়ার থেকে স্বপ্নভঙ্গ হলো নেপালের। প্রোটিয়াদের কাছে এক রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল হিমালয়ের দেশটি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ বলে নেপালের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল দুই রান। এক রান নিলেও সুপার ওভার। ওর্টনেইলের বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলের জন্যই ছুটেন গুলসান। কিন্তু পারলেন না লক্ষ্য ছুঁতে। তার আগেই ক্লাসেন ও কুইন্টম ডি কক মিলে ভাঙেন তার স্টাম্প। রান আউট হন গুলসান, স্বপ্ন ভেস্তে যায় নেপালের।
বিশ্বকাপের ৩১তম ম্যাচে শনিবার ভোরে মুখোমুখি হয় নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি গ্রুপের ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১১৫ রানেই নেপালের সামনে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করে নেপাল। তবে ওপেনিং জুটিতে ৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি নেপাল। অষ্টম ওভারে কুশলকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন তাবরাইজ শামছি। ২১ বলে ১৩ করে ফেরেন নেপালি ওপেনার। ওয়ানডাউনে নেমে অধিনায়ক রোহিত রানের খাতাই খোলার সুযোগ পাননি। ওই ওভারের চতুর্থ বলেই শামছির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নেপালের অধিনায়ক। এরপর অনিল শাহকে নিয়ে দারুণ লড়াই করেন আসিফ শেখ। মূলত প্রোটিয়াদের মনে ভয়টা ধরিয়ে দেন তিনিই। কিন্তু ১৮তম ওভারে শামছির বলেই থেমে যায় তার লড়াই। ৪৯ বলে ৪২ রান করে আসিফ ফিরলে শেষ হয়ে যায় নেপালের আশা। শেষ দিকে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে ১১৪ রানেই থেমে যায় নেপাল। বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন শামছি। একটি করে নেন আনরিখ নরকিয়া ও এইডেন মার্করাম।
টানা তিন ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যে মধ্যে সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচটি তাদের কাছে স্রেফ নিয়ম রক্ষার হলেও নেপালিদের কাছে অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার। কিন্তু এমন ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল নেপাল।
এর আগে ক্যারিবিয়ান পিচে রান তুলতে রীতিমতো খাবি খাচ্ছিল প্রোটিয়ারা। ম্যাচের শুরুতেই তারা হারায় ডি কককে। দলীয় ২২ রানে এইরির বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ১০ রানে থামে কুইনির ইনিংস। ওয়ানডাউনে নেমে ধীরে শুরু করেন এইডেন মার্করাম। ২২ বলে তার ১৫ রানের ইনিংস থামে বোল্ড হয়ে।
বাকিদেরও উইকেটে আসা-যাওয়ার খেলাই চলছিল। স্রোতের বিপরীতে থেকে শুধু ৪৩ রানের খেলেন রেজা হেনড্রিক্স। যদিও সেটি ছিল মন্থর। এই রান করতে তিনি মোকাবিলা করেন ৪৯ বল। আর শেষ দিকে দলের রান তুলতে ভূমিকা রাখেন স্টার্বস। তিনি ১৮ বলে ২৭ রান করলে কোনও মতে ১১৫ রানের সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।