গোটা ম্যাচে (Euro Cup) অন্তত এক ডজন গোলের সুযোগ নষ্ট করল নেদারল্যান্ডস। আর একটু হলেই তার খেসারত দিতে হত তাদের। সুপার সাব উইট ইউঘর্স্ট জেতালেন নেদারল্যান্ডসকে। ইউরো কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রবার্ট লেভানডফস্কিহীন পোল্যান্ডকে কষ্ট করে হারাল ডাচেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে নেদারল্যান্ডস। কডি গ্যাকপো, মেমফিস ডেপাইরা বার বার পোল্যান্ডের বক্সে ঢুকে পড়ছিলেন। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন না তারা। পোল্যান্ডের পাঁচ জন ফুটবলার ডিফেন্স করছিলেন। ১৬ মিনিটের মাথায় খেলার গতির বিপরীতে এগিয়ে যায় পোল্যান্ড। অধিনায়ক জিয়েলিনস্কির কর্নার থেকে হেডে গোল করেন অ্যাডাম বুকসা। লেয়নডস্কি না থাকায় প্রথম একাদশে শুরু করেছিলেন বুকসা। গোল খাওয়ার পরে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় নেদারল্যান্ডস। ২০ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ নষ্ট করেন দলের অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইক। গ্যাকপো, ডেপাইরা বক্সের বাইরে থেকে গোল লক্ষ্য করে শট মারছিলেন। কয়েকটি শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। অবশেষে ২৯ মিনিটে সাফল্য পায় নেদারল্যান্ডস। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে জোরালো শট নেন গ্যাকপো। বল ডিফেন্ডারদের পায়ে লেগে গোলরক্ষক সেজ়নিকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধেই অন্তত আরও তিনটি গোল করতে পারত নেদারল্যান্ডস। সুযোগ নষ্ট করে তারা।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। লেয়নডস্কি না থাকায় প্রতি আক্রমণে খেলার পরিকল্পনা করেছিল পোল্যান্ড। ফলে মাঝমাঠের দখল নেদারল্যান্ডসের কাছেই ছিল। কিন্তু বক্সের কাছে অতিরিক্ত পাস খেলার খেসারত দিতে হচ্ছিল তাদের। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেজনি ভাল বাঁচান। ধীরে ধীরে খেলা ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল। ৮১ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নামেন উইঘর্স্ট। দু’মিনিট পরেই গোল করেন তিনি। বক্সের মধ্যে ঠিক জায়গায় ছিলেন তিনি। বাঁ পায়ের শটে সেজনিকে পরাস্ত করেন গত বছর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করা ফুটবলার।
পিছিয়ে পরেও হাল ছাড়েনি পোল্যান্ড। শেষ দিকে দু’একটি সুযোগ পায় তারা। কিন্তু লেয়নডস্কি না থাকায় সেগুলি কাজে লাগাতে পারেনি তারা। লেভানডফস্কি থাকলে হয়তো খেলার ফল অন্য রকম হত। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস। তবে যে ভাবে তারা একের পর এক সুযোগ নষ্ট করল, তেমনটা করলে বড় দলের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়তে হতে পারে নেদারল্যান্ডসকে।