মারধর, শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় ১৬ জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার বিজেপি পরিচালিত ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনায় তৃণমূলের এক মহিলা কর্মীকে মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতেই বিজেপির উপপ্রধান উত্তম ষাট এখন জেল হেফাজতে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাহাতপুর এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। উপপ্রধান উত্তম ষাট সহ মোট ১৬ জন বিজেপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে ঘাটাল থানার পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে ধারা ৪৪৮- অনধিকার প্রবেশ, ৪২৭-সম্পদ ভাঙচুর ও নষ্ট করা, ৩৭৯ – লুটপাট, শ্লীলতাহানি, অশালীন গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রভৃতি।
অভিযোগকারী রাহাতপুরের বাসিন্দা সত্য দাস। তিনি ঘাটাল থানায় এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, তিনি ও তাঁর পরিবার তৃণমূল করেন। তৃণমূলের অভিযোগ ভোট গণনার পরেই এলাকায় বিজেপির ভালো ফল হওয়ার পরেই গত ৭ জুন রাত প্রায় সাড়ে ১০ টা নাগাদ ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উত্তম ষাটের নেতৃত্বে ১৮ জন পরিকল্পনা করে লাঠি বাঁশ নিয়ে তাড়া তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে প্রবেশ করেন, বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
তাঁর স্বামীকে বাড়ির উঠানে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন বলেও অভিযোগ। এমনকি বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করা হয় মহিলাকে। এই অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় হয়ে উঠে ঘাটাল থানার পুলিশ। ঘাটালের একটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয় ইড়পালার বিজেপি উপপ্রধান উত্তম ষাটকে, অন্যান্যদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় ঘাটালে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে।
ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দিয়ে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। অন্যদিকে ঘাটালের তৃণমূল নেতা বিকাশ কর বলেন, “ইড়পালা সুলতানপুর, মনসুকা সহ একাধিক জায়গায় তৃণমূল অত্যাচারিত, ওই এলাকায় বিজেপির হার্মাদ বাহিনী তৃণমূল কর্মীদের উপর বার বার অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে,মহিলাদের ব্যাপক পরিমাণে মারধরও করা হয়েছে।”