ডুসেলডর্ফে গত রাতে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে নাক ভেঙেছে কিলিয়ান এমবাপ্পের (Kylian Mbappe)। তবে ফ্রান্সের তারকা স্ট্রাইকারের নাকে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই বলে ইএসপিএনকে জানিয়েছেন ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ফিলিপ দিয়ালো। মাস্ক পরে এমবাপ্পে মাঠে ফিরবেন বলে জানিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন।
ইউরোয় ‘ডি’ গ্রুপ থেকে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স-অস্ট্রিয়া। ম্যাচের ৯০ মিনিটে হেড করতে গিয়ে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন দানসোর সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান এমবাপ্পে। তাঁর নাক দিয়ে ঝরঝর করে রক্ত পড়ছিল। ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে মাঠে থেকে তুলে নেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁ।
এমবাপ্পের নাক ভাঙার পর ডুসেলডর্ফের একটি হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল এমবাপ্পেকে। স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে হাসপাতাল ছেড়ে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) সভাপতি জানিয়েছেন, নতুন পরীক্ষার পর দলের মেডিকেল স্টাফরা মনে করছেন এমবাপ্পের নাকে ‘অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই’।
লাইপজিগে শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। এই ম্যাচে এমবাপ্পের খেলা নিশ্চিত নয়। তবে খেললে মাস্ক পরে মাঠে নামবেন। গতকাল বাংলাদেশ সময় ভোরের দিকে এমবাপ্পে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ একটি পোস্টও করেছেন, ‘মাস্কের ব্যাপারে কোনো পরামর্শ?’ ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি মাস্ক বানানো হবে, চিকিৎসার পর যেটি পরে মাঠে ফিরবেন তিনি।’
ফ্রান্সের কোচ দেশঁ-এর কথায় বোঝা গেল, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এমবাপ্পের খেলা নিয়ে তিনি খুব একটা আশাবাদী নন, ‘তার নাকের অবস্থা খারাপ। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। মেডিকেল টিম এ নিয়ে কাজ করছে। কী হয় এবং (সুস্থ হয়ে উঠতে) কত দিন লাগে সেটি জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এটি আমাদের জন্য খুব খারাপ খবর। অবশ্যই তাকে ছাড়া কিংবা তাকে নিয়ে ফ্রান্স দল একইরকম নয়। আশা করি সে (নেদারল্যান্ডস ম্যাচে) থাকবে।’
নাকে আঘাত পাওয়ার পর রক্তে এমবাপ্পের জার্সি রঞ্জিত হয়ে যায়। উঠে দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করলেও পরে মুখটা ধরে বসে পড়েন। সময় নষ্ট করছেন এমনটা ভেবে অস্ট্রিয়ার সমর্থকেরা এ সময় তাঁকে দুয়োও দেন। রেফারিও হলুদ কার্ড দেখান এমবাপ্পেকে। তাঁকে তুলে নিয়ে অলিভিয়ের জিঁরুকে মাঠে নামান ফ্রান্স কোচ দেশঁ।
অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ান ওবেরের আত্মঘাতী গোলে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দেশম শততম জয় তুলে নেওয়ার পর বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। যদিও আমরা গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট করেছি। আক্রমণ বিচারে আমরা আরও নিখুঁত হতে পারতাম। তবে জয়ে শুরুটা ভালো হলো।’