১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন (Parliament Session) শুরু হয়েছে সোমবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, শিবরাজ সিং চৌহান, নীতিন গড়করি এবং মনোহর লাল খট্টর সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আজ সংসদ পদের শপথ নিলেন। এই সময় বিরোধীদের তরফে বিরোধ প্রদর্শন করতেও দেখা যায়। এদিকে, বিরোধীরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে। আজ লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শপথ নিতে গেলে কংগ্রেস ও বিরোধী দলের সাংসদরা নিজেদের হাতে সংবিধান নিয়ে নাড়াতে থাকেন।
শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী দলগুলি নীট-নীট স্লোগান দিতে শুরু করে। একই সময়ে, যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি শপথ নিতে যাচ্ছিলেন, তখন ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বিরোধী দলগুলিও তাদের টেবিলে চাপড়ে অভিবাদন জানান। প্রকৃতপক্ষে, সংসদের প্রথম দিনেই বিরোধীরা তাদের কঠোর অবস্থান দেখিয়েছে। সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।
সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে, ভারত জোটের সমস্ত সাংসদ সংসদ ভবনে গান্ধী মূর্তির সামনে জড়ো হন এবং সংবিধানের একটি অনুলিপি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও উপস্থিত ছিলেন এই সমাবেশে। তিনি বলেন, ‘সংবিধানই সংসদে বলবে’। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘গণতন্ত্রের ঐতিহ্য ধ্বংস করা হচ্ছে’। সমাজবাদী পার্টিও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।
📍Lok Sabha, New Delhi
Took oath as a Member of Parliament. pic.twitter.com/gNsHttdmo2
— Nitin Gadkari (@nitin_gadkari) June 24, 2024
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহর সংবিধানের উপর আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়, আমরা তা হতে দেব না। তাই শপথ নেওয়ার সময় আমরা সংবিধান হাতে নিয়েছিলাম। আমাদের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে’। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দাবি সংবিধান রক্ষা করা। ইউসিসি চালু করা হবে। ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে কি না, তা আমরা জানি না। যখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সবকিছুই একতরফাভাবে করা হয়েছিল’।
সংসদ অধিবেশনের আগে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, আগামীকাল জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এটি ছিল গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন। জরুরি অবস্থার সময় দেশটিকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘জরুরি অবস্থা নিয়ে কথা বলা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’