কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে ২৫ শে জুন এখানে কালো দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করে গণতন্ত্রের গলা টিপে দেওয়ার যে কুৎসিত প্রচেষ্টা করা হয়েছিল, বিজেপি তা জনসাধারণের সামনে আনার চেষ্টা করছে এবং সারা দেশে এই ধরনের কর্মসূচি পরিচালনা করছে।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র সবসময়ই ভারতীয় শাসনতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ থেকেছে, এটি ব্রিটিশ শাসনের উত্তরাধিকার নয়।’
নাড্ডা আরও বলেন, কয়েক দশক আগে কংগ্রেস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে দাগ ফেলার সাহস করেছিল। তিনি বলেন, যাঁরা জরুরি অবস্থা দেখেছেন, এই সপ্তাহে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে ভারতে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা জানার চেষ্টা করুন। আজকের যুবসমাজ কল্পনাও করতে পারবে না। তিনি বলেন, সেই সময় গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে যাঁরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের কারণেই গণতন্ত্র আজ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
বিজেপি সভাপতি বলেন, এক রাতে ৯ হাজার মানুষকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। দেশে কোনও নেতা অবশিষ্ট ছিল না। মোরারজি দেশাই, মোহন ধারিয়া, অটলবিহারী বাজপেয়ী, এল কে আডবানি… এত লম্বা সেই তালিকা। এই নেতাদের এক-দুই দিন নয়, বরং ১৯ মাসেরও বেশি সময় কারাগারে থাকতে হয়েছিল। এই নেতাদের একমাত্র দোষ ছিল যে তাঁরা গণতন্ত্রের সুরক্ষা ও শক্তিশালীকরণের জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১২ই জুন এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত আসে এবং আদালত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনকে অন্যায়ভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বাতিল করে দেয় এবং তাঁকে ছয় বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিষেধ করে।
নাড্ডা আরও বলেন, এর পরে ইন্দিরা গান্ধী সংবিধান পরিবর্তন করে নিজের আসন বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। যার পরে পুরো দেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং এই আন্দোলন বন্ধ করতে ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন রাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, কংগ্রেসের চিন্তাভাবনা ও কাজের পদ্ধতিতে গণতন্ত্রের কোনও সুযোগ নেই। যারা এর বিরোধিতা করেছিল, তাদের নির্মূল করতে কংগ্রেস কোনও প্রয়াসই ছাড়েনি।