সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রথমবার টি২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনাল খেলেছে আফগানিস্তান। কিন্তু স্বপ্নের সেমিফাইনালে এসেই স্বপ্নের দৌড় থেমে গেল রশিদ-গুরবাজ-নবিদের। ত্রিনিদাদে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকা সহজ জয় তুলে নেয় ৯ উইকেট ও ৬৭ বল হাতে রেখে। আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ মানছেন, তাঁদের জন্য কঠিন এক রাত কেটেছে।
ম্যাচ শেষে রশিদ খান বলেন, ‘দল হিসেবে আমাদের জন্য কঠিন এক রাত গেছে। আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারতাম। কিন্তু কন্ডিশন আমাদের সেটা করতে দেয়নি, তবে এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, আপনাকে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
প্রাক্তন ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, সোমবার রাতে ম্যাচ শেষ করে আফগানিস্তান দলের ফ্লাইট ৪ ঘন্টা দেরি করে ত্রিনিদাদে পৌঁছানোর কথা। আফগানরা সেমিতে নামার আগে ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারেনি।
রশিদ হারের পেছনে দোষ দেখছেন ব্যাটিংয়ের, ‘আমার মনে হয় আমরা ব্যাটিংটা ভালো করিনি। ব্যাটিং নিয়ে কিছু কাজ করতে হবে, বিশেষ করে মিডল অর্ডার কীভাবে খেলাটাকে গভীরে নিতে পারে তা নিয়ে। যেটা বলছিলাম, অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমরা দারুণ কিছু অর্জন করেছি, কঠোর পরিশ্রম করে আমরা আবার ফিরব। বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে খাটতে হবে।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গর্ব করার মতো অনেক কিছুই করেছে আফগানিস্তান। গ্রুপপর্বে নিউজিল্যান্ডকে ৭৫ রানে গুটিয়ে ৮৪ রানে জেতে। সুপার এইটে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর বাংলাদেশকে হারিয়ে উঠেছিল সেমিফাইনালে।
রশিদ বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, ‘আমাদের পেসাররা দারুণ বোলিং করেছে। এ কারণেই আমরা এই টুর্নামেন্টে সফলতা পেয়েছি। মুজিবের চোটের কারণে কিছুটা দুর্ভাগা ছিলাম, কিন্তু পেসাররা আর নবি নতুন বলে ভালো বোলিং করেছে।’
রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করেছি। টুর্নামেন্টের আগে যদি কেউ আমাদের বলত, তোমরা সেমিফাইনাল খেলবে, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শীর্ষ কোনো দলের বিপক্ষে হেরে যাবে। আমরা তা ভালোভাবেই গ্রহণ করতাম। এটা মাত্র শুরু, যেকোনো দলকে হারানোর বিশ্বাস আমাদের আছে। এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা বিশ্বাস পেয়েছি। আমরা জানি, আমাদের সামর্থ্য আছে। এখন শুধু কঠিন পরিস্থিতি, চাপের মুহূর্তগুলো সামলাতে হবে।’