হাতে গোছ করা লাঠি। সেই লাঠি দিয়ে এক তরুণীকে রাস্তায় ফেলে তাঁর পশ্চাতদেশে, আন্ডার আর্মে সপাটে মারের পর মার। চিৎকার করছেন তরুণী। গড়াগড়ি খাচ্ছেন রাস্তায়। পাশেই রাস্তায় পড়ে এক যুবক। তাঁকেও মারা হয়েছে ওই একই ভাবে (Chopra Viral Brutal Torture)। কালো টি শার্ট পরিহিত এক যুবক একা পেটাচ্ছে আর গোটা দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছে আম জনতা। এ যেন কোন হিন্দি সিনেমার দৃশ্য! কেউ আটকানোর চেষ্টাও করছেন না। যুবক যুবতীকে নৃশংশ ভাবে মারধর সালিশি সভায়। এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামে দীঘলগাঁও এলাকায়। মারধরের গোটা ঘটনা এক ব্যক্তি মোবাইল বন্দি করেছেন।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছেন (Chopra Viral Brutal Torture) এক ব্যক্তি। চারিদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন মহিলা-সহ অসংখ্য মানুষজন। অথচ কেউ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। থামাননি কেউ। না। বরং যুগলকে পাশবিকভাবে মারধরের মর্মান্তিক দৃশ্য রীতিমতো তাড়িয়ে তাড়িয়ে অনুভব করছে তারা।
শুক্রবার বিকালের ওই নৃশংস অত্যাচারের পরে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও যেতে পারেনি ওই যুবক যুবতী। ওই দু’জনকে আর্থিক জরিমানা করা হয় বলেও অভিযোগ। জেসিবির ভাষায় ওই সালিশি সভার নাম ‘ইনসাফ সভা’ বলেও জানা গেছে। এলাকায় ওই ধরনের সালিশি সভা কিছুদিন পর পরই হয় বলে খবর। তবে প্রশ্ন উঠছে এধরণের তালিবানি শাসনের অবসান কবে হবে? জানা যাচ্ছে, যিনি মোবাইলে এই ছবি তুলেছিলেন, তিনিও ঘটনার পর থেকে পলাতক।
ঘটনাটি যে ঘটেছে, সে কথা মেনে নিয়েছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুলও। একই সঙ্গে স্বীকার করেছেন, ভিডিয়োয় তরুণী এবং তরুণকে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে যাঁকে, সেই তাজম্মুল এলাকায় তৃণমূলেরই হয়ে কাজ করেন। হামিদুল বলেন, “এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। ওই মহিলা যদি পুলিশে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন, অবশ্যই তাজম্মুলকে গ্রেফতার করা হবে।”