ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (Euro Cup) প্রথমবার অংশ নিয়েই শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছিল জর্জিয়া। তবে স্পেনের সামনে বড় কিছু করতে পারেননি জর্জিয়ানরা। তাদের ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অন্যতম ফেভারিট স্পেন।
কোলন স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্পেন। ম্যাচের ২য় মিনিটে ফেবিয়ান রুইজের বাঁপায়ের শট রুখে দেয় জর্জিয়ার ডিফেন্ডাররা। ৫ মিনিটে দানি কার্ভাহালের অ্যাসিস্ট থেকে পেদ্রির বাঁপায়ের শট রুখে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক জিওর্গি মামারদাশভিলি। ১০ মিনিটে আবারও আক্রমণে আসে স্পেন। এবার কার্ভাহালের হেড সেভ করেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আক্রমণ করতে থাকে ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। তবে গোল পাচ্ছিল না তারা। কিন্তু ম্যাচের ১৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে স্পেন। ডিফেন্ডার রবিন লে নরম্যান্ডের পেটে লেগে বল চলে যায় জালে। এতে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে স্পেন। এই গোল শোধ করতে স্পেনকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। নিকো উইলিয়ামসের অ্যাসিস্টে বাঁপায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেন রদ্রি। এতে ১-১ সমতায় ফেরে স্পেন।
সমতায় ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় জর্জিয়া। ৪১ মিনিটে মিডফিল্ডার কাভিচা কাভারেসখেলিয়ার করা অ্যাসিস্ট সামান্য একটু বাইরে দিয়ে মেরে দেন জিওর্গি কোচোরাশভিলি। চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে স্পেনও। তবে আর কেউ গোল না পাওয়ায় সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে জর্জিয়াকে বলতে গেলে কোনো সুযোগই তৈরি করতে দেয়নি স্পেন। ৫১ মিনিটে ফেবিয়ান রুইজের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্প্যানিশরা। লামিন ইয়ামালের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন তিনি। ২ মিনিট পর আবারও আক্রমণ স্পেনের। এবার ইয়ামালের শট চলে যায় গোলবারের বাইরে দিয়ে। এরপর একের পর আক্রমণে জর্জিয়া প্রচন্ড চাপে ফেলে স্পেন।
৭৫ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় স্পেন। এবার ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেন নিকো উইলিয়ামস। তাকে সহায়তা করেন ফেবিয়ান রুইজ। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১। ৮০ মিনিটে গোল করার সুযোগ তৈরি করেও ঠিকমতো জাল খুঁজে বের করতে পারেনেনে ইয়ামাল।
৮৩ মিনিটে আরও একবার জর্জিয়ার জালে বল জমা করে স্পেন। এবার গোল করেন দানি অলমো। মাইকেল ওয়ারজাবালের অ্যাসিস্টে বাঁপায়ের দারুণ শটে জর্জিয়ার জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। পুরো ম্যাচে ৭৫ শতাংশ বল স্পেনের দখলে ছিল। এই সময়ে ৩৫টি শট নিয়েছে তারা। যেখানে ১৩টি শট টার্গেটে রাখতে পেরেছে স্পেন। অবশেষে ৪-১ গোলের ব্যবধানের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে স্পেন।