ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণণের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যাবেন এবং পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁকে ৭টা ৩০ মিনিটে সময় দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে রাঁচিতে পৌঁছন রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণণ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণণের কাছেও সময় চাইবেন হেমন্ত সোরেন। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করা কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি একটি বড় সংকেত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হেমন্ত সোরেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
সূত্রের খবর, জোট বিধায়কদের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছনোর পর ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফিরে আসতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের বাসভবনে জোট নেতারা ও বিধায়করা বৈঠক করেন। সর্বসম্মতভাবে জেএমএম বিধায়ক দলের নেতা হিসাবে হেমন্তকে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, চম্পাই সোরেনের জায়গায় হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস ভারপ্রাপ্ত গুলাম আহমেদ মীর, রাজ্য সভাপতি রাজেশ ঠাকুর, হেমন্ত সোরেনের ভাই বসন্ত এবং স্ত্রী কল্পনা। ঝাড়খণ্ডের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী হলেন হেমন্ত সোরেন।
একটি জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর, গ্রেপ্তারের প্রায় পাঁচ মাস পর, ২৮শে জুন হেমন্ত সোরেন জেল থেকে মুক্তি পান। গ্রেপ্তারের আগে ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন হেমন্ত। ইডি হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) গ্রেপ্তার করার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী চম্পাই সোরেনকে রাজ্যের শাসনভার হস্তান্তর করা হয়। চম্পাই ২ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের ১২তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।