ঘরের মাঠে ইউরোতে শেষ পর্যন্ত জার্মানিকে দর্শক বানিয়ে দিয়েছে স্পেন। স্টুটগার্টে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। টানটান উত্তেজনার ম্যাচটিতে ১৬ হলুদ কার্ড ও ১ লাল কার্ড দেখা গেছে।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল দুই দল। মাঝমাঠের শান্ত টনি ক্রুসকে এদিন দেখা গেছে আগ্রাসী মেজাজে। তার কৌশলী আঘাতে ম্যাচের ৮ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে হয় পেদ্রিকে। খেলার ৪ মিনিটেই বার্সেলোর এই তারকার পায়ে আঘাত করেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। স্প্যানিশরা ক্রুসকে কার্ড দেখানোর দাবি তুলেছিল। ভিএআরও দেখতে বলেছিল। কিন্তু লাভ হয়নি।
প্রথমার্ধে এমন আক্রমণাত্মক ফুটবলে কার্ড দেখাদেখি হলেও গোলের দেখা কেউ পায়নি। গোলশূন্য অবস্থায় প্রথমার্ধ শেষ হয়। বিরতির পর একাধিক পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে জার্মানি। তবে ৪৮ মিনিটে ইয়ামাল একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মোরাটা সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে তিনি না পারলেও পেদ্রির বদলি নামা দানি ওলমো ৫১ মিনিটেই জার্মান সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেন। এখানেও গোলে অবদান ইয়ামালেরই। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
এক গোল হজম করে সেটা শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানরা। কিন্তু বহু সহজ সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি। তবে ৮৮ মিনিটে জশুয়া কিমিচের বাড়িয়ে দেওয়া শটে গোল করে সমতায় ফেরান ফ্লোরিয়ান বির্টজ। তাতে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। খেলার ১০৭ মিনিটে একটি পেনাল্টির পেতে পারত জার্মানরা। ফুলক্রুগের শট ডি বক্সের ভেতরে থাকা কাকুরেলার হাতে লাগে। যা স্পষ্ট দেখা যায়। কিন্তু রেফারি তাতে সায় দেননি। এমনকি ভিএআরও চেক করেননি। তবে পেনাল্টির আবেদন না করে ফাঁকা গোল পোস্ট পেয়েছিলেন জামাল মুসিয়ালারা। চেষ্টা করলে হয়তো গোলের দেখা পেয়েও যেতেন।
কিন্তু ঘরের ছেলে জার্মানরা গোলবঞ্চিত হলেও দমে থাকেনি স্প্যানিশরা। ম্যাচের ১১৯ মিনিটে প্রথম গোলদাতা দানি ওলমোর বাড়িয়ে দেওয়া শটে হেড দিয়ে নয়্যারকে পরাস্ত করেন মিকেল মেরিনো। তাতেই গ্যালারিতে নামে নীরবতা। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই জার্মানিকে ইউরোর দর্শক বানিয়ে দেয় স্প্যানিশরা। তবে শেষ মুহূর্তে জামাল মুসিয়ালাকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন দানি কার্ভাল।