খবরএইসময়,ব্যারাকপুর: সন্ধ্যা গড়াতেই নিজের বাড়িতে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হলেন প্রাক্তন তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলর । দুষ্কৃতীরা পরপর দুটো গুলি চালালে একটি গুলি মাথার পাশ দিয়ে চলে যায় এবং আরেকটি গুলি কাউন্সিলরের বা পায়ে লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই কাউন্সিলরকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারাকপুর বি এন বসু মহাকুমা হাসপাতালে।
সেখানে চিকিৎসকেরা কলকাতার কোনো সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বললে পরিবারের লোকজন কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় ওই কাউন্সিলর কে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। গুলিবিদ্ধ ওই কাউন্সিলরের নাম চম্পা দাস। তিনি উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর।
এক সময়কার ত্রাস গোপাল দাসের স্ত্রী এই চম্পা দাস নির্দল থেকে জিতলেও পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর হিসেবে পরিচিত হন।
এদিকে এই গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ইচ্ছাপুর মায়াপল্লী এলাকায়। ছুটো ছুটি পড়ে যায় মানুষজনেদের মধ্যে। ঘটনাস্থলে আসে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত পৌনে ৮ টা নাগাদ দুটি বাইকে চেপে চারজন দুষ্কৃতী আসে প্রত্যেকেরই মুখে রুমাল বাধা ছিল । একটি বাইক চম্পা দেবীর বাড়ির থেকে একটু এগিয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং আর একটি বাইকে দুজন এসে বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে চম্পা দেবীকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা।
খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘দুটি বাইকে চেপে ৪ জন দুষ্কৃতী এসেছিল। মুখ ঢাকা ছিল বলে স্থানীয়রা কেউই চিনতে পারেনি। তবে খুব শিঘ্রই আমরা দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলব।’ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে নোয়াপাড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।