জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় সেনা কনভয়ে হামলা (Terrorist Attack) চালিয়েছে জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে ৪ জন সেনা নিহত হয়েছেন এবং ৫ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের চিকিৎসা চলছে। সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে কাঠুয়া জেলার বিলাওয়ার তহসিলের মাছেদি এলাকার বদনোতা গ্রামে।
এলাকাটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯ কর্পসের আওতাধীন। সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে (Terrorist Attack) সৈন্যরা পাল্টা জবাব দেয়। উভয় পক্ষের গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এর আগে শনিবার কাশ্মীরের কুলগামে দুটি এনকাউন্টারে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। ঐ ঘটনায় দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে জম্মু রেঞ্জের ডিআইজি সুনীল গুপ্তাসহ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। জম্মু থেকে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের (এসওজি) একটি দলও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কাঠুয়া শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে লোহাই মালহারের বাদনোতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে, যখন সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল।
সেনা আধিকারিকরা রবিবার বলেছিলেন যে মোদারগাম এনকাউন্টারে দুই সন্ত্রাসবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং রবিবার চিন্নিগাম থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার কুলগাম জেলার দুটি গ্রামে এনকাউন্টার শুরু হয়। এনকাউন্টারে একজন কমান্ডো সহ দুই সেনা নিহত হন।
অভিযান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে পুলিশের মহানির্দেশক আর আর সোয়াইন বলেন, “৬ জন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করা একটি বড় সাফল্য। এই সাফল্য একটি লক্ষণ যে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের অবসানের লড়াই তার উপসংহারে পৌঁছাবে।
গত কয়েক মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলা (Terrorist Attack) হয়েছে। রিয়াসি, কাঠুয়া এবং দোদায় হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। ৯ই জুন রিয়াসি হামলায় নয়জন তীর্থযাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪১ জন। হামলায় সাতজন নিরাপত্তা কর্মীও আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন এক সি আর পি এফ জওয়ান। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনী দুই জঙ্গিকে হত্যা করেছে।
দুটি এনকাউন্টারই অমরনাথ যাত্রার সময় হয়েছিল। গত কয়েক মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা বেড়েছে। এদিকে, নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। জম্মু-কাশ্মীরে শীঘ্রই বিধানসভা নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিরাপত্তা বাহিনী খবর পেয়েছে যে উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য সীমান্তের ওপারে একটি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসীদের নিয়োগের জন্য বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সন্ত্রাসীরা পরাজিত হয়েছে। পুলিশও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।