পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রার (Rath Yatra 2024) সময় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে। আর তাতেই পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে দাবি। এখনও পর্যন্ত এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে কী কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভিড়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ঘটনার পর পরই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন।
৫৩ বছর পর বিরল যোগের কারণে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির দিন বিকেলে রথের রশিতে টান পড়েছে এবার। একই কারণে এবার দুই দিন ব্যাপি রথযাত্রা পুরীতে। আজ কিছু দূর গড়িয়েই থেমে গেল রথের চাকা। ফের কাল শুরু হবে যাত্রা। নিয়ম মতো জগন্নাথ, বলরাম বা বলভদ্র এবং সুভদ্রাদেবী মাসির বাড়ি গুণ্ডিচার উদ্দেশে রওনা হলেন।
প্রতিবার রথযাত্রায় (Rath Yatra 2024) যেমন আমজনতার ঢল নামে তেমনই ভিভিআইপি সমাগমও কম হয় না। তার মধ্যে থাকেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল প্রমুখ। ওড়িশায় এখন ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’। নবীন পট্টনায়কের বিজেডিকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। যথারীতি ওড়িশার নতুন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এবং রাজ্যপাল রঘুবর দাস উপস্থিত ছিলেন বচ্ছরকার জগন্নাথ পুজোয়। তার উপর রাষ্ট্রপতী দ্রৌপদী মুর্মুও (Draupadi Murmu) এবার হাজির হয়েছেন বঙ্গোপসাগর তীরের শহরে। চারদিনের ওড়িশা সফরের মধ্যে রবিবারটি তিনি দেবভূমেই কাটাচ্ছেন, জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ পেতে। এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কয়েক গুণ বাড়াতে হয়েছে। ঘুম ছুটেছে ওড়িশা পুলিশেরও।
এই রথযাত্রাটিকে অনন্য বলে মনে করা হয় কারণ নেত্র উৎসব, নবজৌবন দর্শন এবং রথযাত্রা এই তিনটি অনুষ্ঠান একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়। যদিও ৫৩বছর আগে ১৯৭১ সালে একই ধরনের ঐশ্বরিক ব্যবস্থা হয়েছিল।
তবে পুরী প্রশাসন জমকালো উৎসব সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। ভক্তদের মধ্যে বিনামূল্যে খাবার, পানীয় জল ও গ্লুকোজ বিতরণের জন্য প্রায় ৪৫০টি সংগঠন এগিয়ে এসেছে। সব মিলিয়ে নীলাচলে ‘রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম’।