বুধবার সকালে সীতামড়ি থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য একটি ডাবল ডেকার বাসে (Accident) করে আসা তিনটি পরিবার উজার হয়ে গেল। দুটি পরিবার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন বিহারের শেওহর জেলার হিরাগার বাসিন্দা লাল বাবু দাসের। অন্য পরিবারটি মুলহারি জেলার শিবোলির। শফিক নামে এক ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গেও একই ঘটনা (Accident) ঘটে। এ ঘটনায় দুজনের পরিবারের ৪ জন করে সদস্য মারা গেছেন। এই ঘটনায় দিল্লি নিবাসী শাবানা ও তাঁর মেয়ে নগমা নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে।
আগ্রা থেকে প্রায় ২৪৭ কিলোমিটার দূরে উন্নাওয়ের বেহতা মুজাওয়ার থানা এলাকায় দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটে। দুর্ঘটনায় ডাবল ডেকার বাসের একটি অংশ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসের সেই দিকের আরোহী যাত্রীরা মারা গেছেন। সিও বাঙ্গারমাউ-এর মতে, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন তিনটি পরিবারের সদস্য।
#WATCH | Uttar Pradesh: Visuals from the Lucknow-Agra Expressway in Unnao where a bus collided with a milk container in which 18 people lost their lives and 19 others were injured. pic.twitter.com/cf06cM6ehf
— ANI (@ANI) July 10, 2024
বিহারের শেওহর জেলার হিরাগার বাসিন্দা লালবাবু দাসের পরিবার জীবিকার জন্য দিল্লিতে বসবাস করে।তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানেই পড়াশোনা করে। গ্রীষ্মের ছুটিতে তাঁরা গ্রামে গিয়েছিলেন এবং ডাবল ডেকার বাসে করে দিল্লি ফিরছিলেন। নিহতরা হলেন লাল বাবু দাস, তাঁর ছেলে রাম প্রবেশ, ভারত ভূষণ ও বাবু দাস। একইভাবে, বিহারের মুলহারির শিবোলির বাসিন্দা চাঁদনির পুরো পরিবার এই দুর্ঘটনায় (Accident) মারা গেছে। বাসটিতে চাঁদনী, তার স্বামী শফিক, ছেলে তৌফিক ও পুত্রবধূ মুন্নি ছিলেন। তারা সবাই মারা গেছেন। তৃতীয় পরিবারটি দিল্লির ভজনপুরার বাসিন্দা শাবানার। শাবানার মেয়ে নাগমাও দুর্ঘটনায় মারা যান।
অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একটি দুধের ট্যাঙ্কারটি মাঝারি গতিতে আগ্রার দিকে যাচ্ছিল। তখন পিছন থেকে ডাবল ডেকার বাসটি ছুটে এসে দুধের ট্যাঙ্কারে ধাক্কা (Accident) মারে। পুলিশের অনুমান দুটি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ডাবল ডেকার বাসের চালক ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় কনটেইনারে ধাক্কা মারে। অথবা হতে পারে যে, ডাবল ডেকার বাসের চালক ট্যাঙ্কারটিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে এবং তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই দুর্ঘটনায় বাসটির বাম দিক ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। কারণ ট্যাঙ্কারের গতি কম ছিল এবং বাসটির গতি ছিল বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বাসটি ট্যাঙ্কারটিকে পিষে অর্ধেকেরও বেশি ভিতরে প্রবেশ করে। বাসের বাঁ দিকটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনায় বাসের বাঁ দিকের সব যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের মতে, এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা যে সংঘর্ষটি বাম দিকে হয়েছিল। ডানদিকে যদি একই সংঘর্ষ হত, তাহলে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত।