বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে আড়িয়াদহের (Ariadaha Viral Video Case) গ্যাংস্টার জয়ন্ত সিং ও তাঁর গ্যাংয়ের একের পর এক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। আড়িয়াদহের ক্লাবে কিশোরকে নগ্ন করে যৌনাঙ্গে সাঁড়াশির চাপ থেকে শুরু করে যুবককে হকিস্টিক দিয়ে পেটানোর ভিডিয়ো রাজনৈতিক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। অবশেষে সেই ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। কিশোরের উপর নিগ্রহের অভিযোগে জয়ন্ত সিংয়ের গ্যাংয়ের এক শাগরেদ গ্রেফতার।
বুধবার ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, কামারহাটির ভিডিয়োকাণ্ডে(Ariadaha Viral Video Case) এখনও পর্যন্ত জয়ন্তের ছয় সঙ্গী গ্রেফতার হয়েছেন। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে বলে জানান তিনি। ভিডিয়োকাণ্ডে নির্যাতিতদেরও খোঁজ চলছে বলে জানানো হয়। ভিডিয়োটি যত পুরনোই হোক, ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে পুলিশ।
যে ভিডিয়োর ভিত্তিতে জয়ন্তের ছয় সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়, তাতে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে হাত-পা ধরে ঝুলিয়ে রেখে বেধড়ক মারধর করছেন কয়েক জন। আর যন্ত্রণায় আর্তনাদ করছেন ওই ব্যক্তি। সোমবার রাতে ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির তরফেও তা পোস্ট করা হয়। বিজেপি ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখে, ‘‘কামারহাটির তালতলা ক্লাবে মদন-ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত সিংহ কী ভাবে নিরস্ত্র মহিলাকে মারছেন, দেখা যাচ্ছে। যে রাজ্যের সরকার নারীদের সুরক্ষা নিয়ে গর্ব করে, সেখানে এই বর্বরতা মানবতার কলঙ্ক। এর দ্রুত তদন্ত এবং বিচার চাই।’’ ভিডিয়ো প্রসঙ্গে বিজেপির পাল্টা পোস্ট করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র ঋজু দত্ত এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘এটি ২০২১ সালের মার্চ মাসের ভিডিয়ো। অভিযুক্তেরা জয়ন্ত সিংহ এবং তাঁর অনুগামী। ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্তত দু’জন এখন জেলে।
এই ভিডিয়ো(Ariadaha Viral Video Case) প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত কেঁপে ওঠেন আড়িয়াদহের ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। কিশোরের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে শূলে চড়াবে মানুষ। মানুষের ধৈর্য্যের সীমা নিয়ে খেলছে।” এই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন খোদ বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, “এই যে ধরে পেটাচ্ছে, পুলিশ জানে না, তেমনটা নয়। যারা পেটাচ্ছে তারা ফ্যাক্টর নয়। ফ্যাক্টর হচ্ছে ঠিকাদার। পুলিশ সব জানে। পুলিশ কি আজকে এই ভিডিয়ো পেল?”