মুম্বই যাওয়ার পথে আড়িয়াদহ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata banerjee)। বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে ভিডিয়ো ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে, সে ভিডিয়ো পুরনো। সে সময় সাংসদ ছিলেন অর্জুন সিং। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
মুম্বই সফরে মমতার সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পওয়ারের বৈঠক হবে। মমতা নিজেই জানিয়েছেন, শুক্রবার এই দুই নেতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ করার কথা। শুক্রবার মুকেশ-তনয়ের বিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শনিবার মমতার কলকাতায় ফেরার কথা।
বিমানবন্দরে মমতা বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে তৃণমূলকে ড্যামেজ করতেই ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে পুরনো ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ নির্দিষ্ট করে কোনও ভিডিয়োর কথা না বললেও মনে করা হচ্ছে, আড়িয়াদহের ক্লাবঘরে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত সিংহ এবং তাঁর বাহিনীর যে কীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে, মুখ্যমন্ত্রী তার দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। মমতা এ-ও বলেছেন, ‘‘ওই ঘটনা ২০২১ সালের। তখন ওখানে এমপি ছিলেন অর্জুন সিংহ।’’ অর্জুন-অনুগামীদের অবশ্য বক্তব্য, আড়িয়াদহ কামারহাটির অন্তর্গত। আর কামারহাটি পড়ে দমদম লোকসভার মধ্যে। অর্জুন ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। তা হলে কী ভাবে অর্জুনের নাম বলা হচ্ছে?
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পুরনো ঘটনা নতুন করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা বলা হচ্ছে না। উল্লেখ্য, আড়িয়াদহের মা-ছেলেকে পেটানোর ঘটনায় জয়ন্ত ইতিমধ্যেই জেলে বন্দি। জেলে থাকাকালীনই ওই পুরনো ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তার ভিত্তিতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। ইতিমধ্যে জয়ন্তের সাত শাগরেদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই জয়ন্তের ‘ছায়াসঙ্গী’ লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মমতা এ-ও বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে একটা বুথে কী হয়েছে, সেটাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। বাকি জায়গায় শান্তিপূর্ণ ভাবে যে মানুষ ভোট দিয়েছেন, তা দেখানো হচ্ছে না।’’