দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) জামিনের আবেদনে বড় স্বস্তি দিল দিল সুপ্রিম কোর্ট। আবগারি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ইডি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছে। এছাড়াও, সুপ্রিম কোর্ট মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর অব্যাহত থাকার বিষয়ে একটি বড় মন্তব্য করেছে। আদালত বলেছে, ‘কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) একজন নির্বাচিত নেতা এবং তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চালিয়ে যেতে চান কিনা তা তাঁর সিদ্ধান্ত।’
#WATCH दिल्ली: सुप्रीम कोर्ट द्वारा मुख्यमंत्री अरविंद केजरीवाल को अंतरिम जमानत दिए जाने पर उनके वकील ऋषिकेश कुमार ने कहा, "सुप्रीम कोर्ट ने आज अरविंद केजरीवाल को अंतरिम जमानत दी है और धारा 19 और गिरफ्तारी की आवश्यकता के मुद्दे को एक बड़ी बेंच को भेज दिया गया है। मुख्यमंत्री… https://t.co/rLBjeIe8ZO pic.twitter.com/hQCDMVuMOy
— ANI_HindiNews (@AHindinews) July 12, 2024
দিল্লির আবগারি নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। তবে, ইডি-র মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করায় কেজরিওয়াল জেলেই থাকবেন। এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
শীর্ষ আদালত বলেছে, “আমরা জামিনের প্রশ্নটি পরীক্ষা করিনি, তবে আমরা পিএমএলএ-এর ১৯ ধারার পরামিতিগুলি পরীক্ষা করেছি। আমরা ধারা ১৯ এবং ধারা ৪৫-এর মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করেছি। ধারা ১৯ কর্তৃপক্ষের একটি বিষয়গত মতামত এবং বিচারিক পর্যালোচনার বিষয়। ধারা ৪৫ আদালত নিজেই প্রয়োগ করে। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ দেখবে পিএমএলএ-র বিধান সঠিক কি না। কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতার কি ঠিক, না বেঠিক”?
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ৯০ দিন ধরে জেলে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে, অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে কেজরিওয়ালকে মুক্তি দেওয়া হোক। তিনি একজন নির্বাচিত নেতা এবং তিনি এই পদে থাকতে চান কি না তা তাঁর উপর নির্ভর করে। পরে শীর্ষ আদালত মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে স্থানান্তর করে। মামলাটি এখন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে। বৃহত্তর বেঞ্চের শুনানি পর্যন্ত তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়ার পরে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আইনজীবী ঋষিকেশ কুমার বলেছিলেন যে সুপ্রিম কোর্ট তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে এবং ধারা ১৯ এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে প্রেরণ করেছে। সিবিআই মামলায় জামিনের আবেদন এখনও ঝুলে থাকায় জেলেই থাকবেন কেজরিওয়াল।
দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় ইডি-র গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেছেন কেজরিওয়াল। সুপ্রিম কোর্ট ১৭ই মে এই মামলার শুনানি করে এবং রায় সংরক্ষিত রাখে। তিনি আরও বলেন, জামিনের জন্য ট্রায়াল কোর্টে যেতে পারেন কেজরিওয়াল। ইডি-র গ্রেফতারি ও পরবর্তী হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। ৯ এপ্রিল দিল্লি হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার বহাল রাখে। এই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)।
গত ১৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল। বেশ কয়েকবার সমন দেওয়া সত্ত্বেও ইডি-র দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য না আসায় এই গ্রেপ্তারের মধ্যে বেআইনি কিছু নেই বলে জানিয়েছিল উচ্চ আদালত। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া ইডি-র আর কোনও উপায় ছিল না।
আবগারি কেলেঙ্কারির মামলায় তিহার জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) জামিনের আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ জুলাই। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সিবিআইকে নোটিশ পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। শুনানির সময়, হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের আইনজীবীদের বলেছিল, “যখন আপনার কাছে বিকল্প ছিল, তখন আপনি কেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন? ট্রায়াল কোর্টে জামিনের আবেদন করলেন না কেন?