কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বৃহস্পতিবার এনসিওআরডি (নার্কো কো-অর্ডিনেশন সেন্টার) এর সপ্তম শীর্ষ-স্তরের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন এবং জাতীয় মাদক হেল্পলাইন মানস (মানস) চালু করেছেন। এই হেল্পলাইন চালু করার পর অমিত শাহ বলেন, মাদকের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।
অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, এই লড়াই ভারত সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। মাদকমুক্ত ভারতের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর সংকল্প এই লড়াইয়ের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি দেখায়। এটি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি একটি সুযোগ এবং এই লড়াইটি দৃঢ় সংকল্পের সাথে জিততে পারে।
বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) শ্রীনগরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) জোনাল অফিসের উদ্বোধন করেছেন এবং এনসিবির ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩’ প্রকাশ করেছেন। শাহ বলেন, আগে আমাদের সংস্থাগুলির মূলমন্ত্র ছিল ‘Need to Know’, কিন্তু এখন আমাদের ‘Duty to Share’-এর দিকে এগিয়ে যেতে হবে। শাহ সমস্ত সংস্থাকে এই বড় পরিবর্তন গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
বৈঠকের উদ্দেশ্য কী ছিল?
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে মাদক পাচার ও অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নার্কো কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (এনসিওআরডি) ৭ম শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহ বলেন, শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকার মাদক পরীক্ষার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের কিট সরবরাহ করবে যাতে মামলা নথিভুক্ত করা সহজ হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি কী?
এই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্য হল ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে নিয়ে যাওয়া এবং এর জন্য তরুণ প্রজন্মকে মাদকের অভিশাপ থেকে দূরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এখন মাদকের পুরো ব্যবসাকে মাদক-সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, মাদক থেকে প্রাপ্ত অর্থ দেশের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুতর হুমকিতে পরিণত হয়েছে। সমস্ত সংস্থার লক্ষ্য কেবল মাদক ব্যবহারকারীদের ধরা নয়, বরং এর পুরো নেটওয়ার্কটি ভেঙে ফেলা উচিত। আমরা কোথাও থেকে এক গ্রাম মাদক ভারতে আসতে দেব না, এবং ভারতের সীমান্তকে কোনওভাবেই মাদক ব্যবসার জন্য ব্যবহার করতে দেব না।’