২১-এর সমাবেশ সফল করতে রাজ্যের প্রত্যেক জেলা থেকেই আসছেন বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকেরা(TMC)। বৃহস্পতিবার উত্তরের জেলা থেকে রওনা দিয়েছিলেন কর্মীরা। শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌছলেন তাঁরা। যোগদানকারীদের সাহায্য করতে প্রত্যেক জেলার স্টেশন চত্বরে খোলা হয়েছে সহায়তা কেন্দ্র। জেলার নেতা এবং কর্মীরা সকলেই একই ট্রেনে রওনা দিয়েছেন।
মালদহ থেকে দুই দিনাজপুর, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের স্টেশনে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিল করে এসে তাঁরা ট্রেনে ওঠেন। কোচবিহার লোকসভা আসন জয়ের পরে, এবারে সেই জেলা থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক আসবেন বলে আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব৷ দিনহাটার বামনহাট স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে কলকাতা রওনা হয়েছিলেন৷ এছাড়াও নিউ কোচবিহার স্টেশন, সন্ধ্যায় পদাতিক এক্সপ্রেস ও সরাইঘাট এক্সপ্রেসেও কলকাতার পথে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা রওনা হয়েছিলেন বৃহস্পতিবার।
শুক্রবার সকালে তাঁরা কলকাতা চলে এসেছেন। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দেখা যায় সকলের হাতে ছিল দলের পতাকা। স্টেশনের প্লাটফর্মে মিছিল ও দলের স্লোগান দিতে দিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা রওনা হন সল্টলেকে ক্যাম্পের পথে। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এবছরও কর্মীদের নিয়ে কলকাতার এই সমাবেশে তাঁরা যোগ দিতে এসেছেন। পাশাপাশি বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন থেকে তৃণমূল কর্মীরা ট্রেনে চেপে রওনা হয়েছেন কলকাতা অভিমুখে।
বুধবার সন্ধ্যার পর বৃহস্পতিবার ভোরে প্রচুর তৃণমূল কর্মী-সমর্থক রওনা হন কলকাতা অভিমুখে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে কলকাতা অভিমুখে রওনা হয়েছিলেন যাঁরা ইতিমধ্যেই কলকাতার শিবিরে পৌঁছে গেছেন। বৃহস্পতিবার তেভাগা এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। বালুরঘাট থেকেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তাঁরাও কলকাতায় পৌঁছে যাবেন। জেলা থেকে আসা কর্মীদের থাকার জন্য সল্টলেক, কসবা-সহ একাধিক স্থানে ক্যাম্প করা হয়েছে।