খুব শীঘ্রই রাজ্য মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল(WB Cabinet Reshuffle) হতে চলেছে। এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হয়েছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি সংসদে যাচ্ছেন। তাই তাঁর জায়গায় নতুন মন্ত্রী আসতে পারেন। এছাড়াও সব মিলিয়ে মোট তিনটি দফতরে পরিবর্তন করা হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এই আবহে মমতার মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের আবির্ভাব ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় রদবদল সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে পাঠানো হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। সেই ফাইলে রাজ্যপালের স্বাক্ষর পড়লেই রদবদলে শিলমোহর পড়বে। তবে এখনও নাকি রাজ্যপালের তরফ থেকে সেই ফাইলে সই করা হয়নি। তাই আপাতত মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়টি ‘ঝুলে রয়েছে’। রাজ্যপালের সইয়ের পরই আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব পাবেন নতুন মন্ত্রীরা। এদিকে কারা এই সব দবদলে পদ পাবেন, তা নিয়ে চলছে বিস্তর চর্চা।
সেচমন্ত্রীর পদে থাকা পার্থ ভৌমিক লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর থেকে জেতায় সেই দফতরটি নিজের কাছে রেখে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার সেচ দফতর অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে সদ্য উপনির্বাচনে জিতে আসা বিধায়কদের কপাল খুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে লোকসভা ভোটের সঙ্গে দুই বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের পরে জয়ী বিধায়কদের শপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পরে অনেক টালবাহানার পরে শপথ নিতে পেরেছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। আর সদ্য অনুষ্ঠিত চার আসনের বিধানসভা উপনির্বাচনেও বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল। ৪টির মধ্যে ৪টি আসনেই ফুটেছে ঘাসফুল। বিধায়ক হয়েছেন বিজেপি থেকে আসা মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণীরা। এছাড়া মানিকতলায় জয়ী সাধনপত্নী সুপতি পাণ্ডে। আর বাগদায় জিতেছেন মধুপর্ণা ঠাকুর।