নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: নদীয়া জেলার ১৮টি ব্লক এবং ১১ টি পুরসভা (নোটিফায়েড এরিয়া সহ)এলাকায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৪। শুধু তেহট্ট ১ নম্বর ব্লকের আক্রান্ত সংখ্যা পঞ্চাশ। সমস্ত ব্লক এবং জেলার সমস্ত পুরসভা এলাকার আক্রান্তের সংখ্যা ছাপিয়ে যে ভাবে বাড়ছে, তাতে স্থানীয় মানুষ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার ছাপ।তেহট্ট মহকুমার দুজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল মঙ্গলবার। একজন তেহট্ট-১ ব্লকের অন্যজন তেহট্ট-২ ব্লকের। তেহট্ট-১ ব্লকের রঘুনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারানগর গ্রামের এক যুবকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই যুবক চার তারিখে ব্যাঙ্গালোর থেকে ফিরে এসেছিলেন। তিনি স্থানীয় স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন। পাঁচ তারিখ তার সোয়াব টেস্ট হয়। সাত তারিখ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বুধবার তাকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা। এই নিয়ে তেহট্ট-১ ব্লকে করোনা সংক্রমিত হলেন ৫০জন। অন্যদিকে তেহট্ট-২ ব্লকের হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁসপুকুরিয়া গ্রামের এক বৃদ্ধের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই বৃদ্ধের কোন ট্রাভেল করার ইতিহাস নেই। ওই বৃদ্ধের কি করে করোনা সংক্রমণ হল তাই নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্যদপ্তর ও মহকুমা প্রশাসন।
বৃদ্ধের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা দীর্ঘদিন থেকে অ্যানেমিয়ায় ভুগছেন। তিন তারিখ তাঁকে বহরমপুরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় চিকিৎসক তাঁকে না দেখে বলেন কোন হাসপাতালে ভর্তি করতে। সেই শুনে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি নিয়ে এসে পরের দিন তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেইদিন তার জ্বর অল্প থাকায় তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। রক্তের প্রয়োজন হওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়। পাঁচ তারিখ ওই বৃদ্ধের সোয়াব টেস্ট হয়। সাত তারিখ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা সাতজনকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয় বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের কোন চিকিৎসক বা কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কোন নির্দেশ দেওয়া হয় নি। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ছিল। ফলে কোন রকম সংক্রমণের ভয় নেই ওই বৃদ্ধের থেকে। ওই এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জন ঘোষণা করা হবে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।নদিয়া জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩৪ জন।