সৌভিক সরকার,ব্যারাকপুরঃ মা ও তিন বছরের মেয়ের রহস্য মৃত্যুর ঘটনা ব্যারাকপুর সদরবাজার গোলামমহল এলাকায়। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বন্ধ ঘর থেকে মা পরভিন খান (২৬) এর ঝুলন্ত দেহ এবং একই ঘরের খাট থেকে তিন বছরের মেয়ে ইভানার নিথর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
এদিন দুপুর থেকেই প্রতিবেশী কয়েকজন ডাকাডাকি করে তাদের সাড়াশব্দ না পেলে বাড়ির মালিক সুজয় সাহা নিচে নেমে এসে জানতে চান কি ব্যাপারে ডাকছেন তারা। এর মধ্যেই এক প্রতিবেশি জানলা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পারভিনকে দেখতে পান। জানাজানি হতেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় ব্যারাকপুর থানায়। থানা কাছে হওয়ায় ছুটে এসে পুলিশ দরজা ভেঙে দেখে সিলিংয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে মা। ছোট্ট মেয়েটির নিথর দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। সাথেসাথে পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে এই ভাড়া বাড়িতে থাকেন ইমরান খান। একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি।তবে এই লকডাউনে তিনি কাজ হারিয়েছেন। সকাল থেকেই ইমরান বাড়িতে ছিলেন না। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন। স্থানীয়সূত্রের খবর, পরিবারে অশান্তির কোনো ঘটনা তাদের নজরে আসেনি। রোজই সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলত পারভিন।
এ দিন তাঁকে ও বাচ্চাটিকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করলেও সাড়া না মেলায়, শেষে জানলার কাছে গিয়ে এক প্রতিবেশি ওই অবস্থায় দেখে চিৎকার করে। তবে এইভাবে ছোট্ট মেয়ে ও মায়ের জোড়া মৃত্যু কি নিছকই আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য আছে তা নিয়ে সন্দেহে ব্যারাকপুর থানার পুলিশ সহ স্থানীয়রা। পুলিশ মৃতার স্বামী ও আত্মীয়দের জেরা করতে শুরু করেছে।