এতদিন ‘ঢাকঢাক গুড়গুড়’ চলছিল। এবার বাংলা ভাগে উস্কানি বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanto Majumder)। বাংলা ভাগের দাবি জানালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন। প্রধানমন্ত্রীকে সুকান্তর প্রস্তাব প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে ওঠে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, “আবার সেই বাংলাভাগের বিভাজনের চেষ্টা! বিভাজন, ভেদাভেদ এই সবে উস্কানি ও সুরসুড়ি দিচ্ছেন। বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব দিয়ে উন্নয়নের টোপ দিয়ে ফের বাংলা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে। আসলে ওরা বংলার উন্নয়নের বিরোধী।” বাংলাকে বঞ্চনার প্রসঙ্গ টেনে কুণাল ঘোষ জানান, “বাংলাকে টাকা দেওয়া যাবে না। ১০০ দিনের টাকা, আবাসের টাকা দেওয়া যাবে না। এগুলো সুকান্তরাই গর্ব করে দিল্লিতে বলে এসেছিলেন।”
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে এই প্রস্তাব দিয়েছেন সুকান্ত। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের মিল আছে। সুকান্ত জানান, উত্তরের ৮ জেলা পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসেবে থাকলেও উত্তর-পূর্বের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সম্ভব কি না, তা জানতে চেয়েছেন। তিনি মনে করেন, উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের অংশ হিসেবে ধরা হলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে সুবিধা হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলেও মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক চরমে ওঠে। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছিলেন তিনি। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর সেই বিষয়ে সুর নরম করেন।
তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় সুকান্তর এই দাবিকে ‘চক্রান্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ বলে আলাদা কোনও ভূখণ্ড নয়। ওই ৮টি জেলা পশ্চিমবঙ্গের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ওঁর এ কথা মেনে নিতে হলে, কেন্দ্রীয় সরকারকে মেনে নিতে হবে উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে নতুন রাজ্যের দাবি উঠেছে। ৪০টি এমন নতুন রাজ্যের দাবি জমা আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে।” তাঁর দাবি, বাংলার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।