বক্তব্য রাখতে শুরু করার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ এই অভিযোগ তুলেই নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এলেন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)৷ বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বৈঠকে ডেকে তাঁকে অপমান করা হয়েছে৷ সেই কারণেই বৈঠক বয়কট করে ফিরে যাচ্ছেন তিনি৷
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, তাঁর আগে বক্তব্য রাখা অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বার্থে বাংলার স্বার্থে রাজ্যগুলির স্বার্থে আমি এখানে এসেছিলাম৷ বিরোধী পক্ষের অন্য কেউ আসেনি৷ আমি একা এসেছিলাম৷ আপনারা বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন, বাংলার সমস্ত দলের উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছেন৷ আপনারা বিরোধীদের কোনও সুযোগ দেন না৷ তিন বছর ধরে সব উন্নয়ন বন্ধ৷ গত বছর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা পাই৷ বাজেটে এ বছরও শূন্য৷ এইটুকু বলার পরই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ আমি তখন বললাম আমার মাইক কেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? এটা আমাকে অপমান করা হল৷ সব বিরোধী দলকেই অপমান করা হল৷ এর পরে আর আমার এখানে থাকা সম্ভব নয়, আমি চললাম৷’ বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার আগে অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডু কুড়ি মিনিট বললেন৷ গোয়া, অসম, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদেরও অন্তত ১২ থেকে ১৫ মিনিট বলতে দেওয়া হল৷ কিন্তু আমি বলার সময় পাঁচ মিনিটেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল৷ এরকম রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব কেন? আপনাদের বাজেটও একই রকম পক্ষপাতদুষ্ট৷ আপনার দল আমার দলে ভেদাভেদ করলে দেশ চলবে কী করে?
মমতা জানিয়েছেন, বক্তব্য রাখার সময় প্ল্যানিং কমিশন ফিরিয়ে আনার পক্ষেও সওয়াবল করেছেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নীতি আয়োগের তো কোনও আর্থিক ক্ষমতাই নেই৷ তাহলে প্ল্যানিং কমিশনকে ফিরিয়ে আনা হোক৷’ পাশাপাশি তিন বছর ধরে রাজ্যের একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা, রাস্তা তৈরির মতো উন্নয়নমূলক প্রকল্পের টাকাও কেন্দ্র কেন বন্ধ করে রেখেছে, সেই প্রশ্নও তিনি তুলেছেন বলে বৈঠক থেকে বেরিয়ে জানান মমতা৷ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এই বিষয়গুলি তুলে ধরে তিনি বিরোধীদের হয়ে সওয়াল করতেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷