এবার কালনায় তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’। সদলবলে গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে বাড়ির মহিলা-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় অভিযুক্ত কালনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে মারধরের ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। এক মহিলাকে চড়-থাপ্পড় মারতে দেখা যায় অভিযুক্তকে। ভিডিওতে অবশ্য দুই পক্ষকেই একে অপরকে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গেছে কালনায়।
কালনার দেবনাথপাড়া এলাকায় একটি জায়গায় পাঁচিল দেওয়া নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। গোপালের দাবি, তিনি সেই জায়গাটি কিনেছেন। সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে তাঁর কাছে। কিন্তু তা পাঁচিল দিয়ে ঘিরতে যেতেই বাধা দেওয়া হয়।
আক্রান্তদের অভিযোগ, গোপাল একদল ছেলে নিয়ে তাঁদের বাড়িতে ঢোকেন। সেই সময় সামনেই বাড়ির এক মহিলা ছিলেন। তাঁকে চড় থাপ্পড়, ঠেলাঠেলি করতে থাকেন। এমনকী ঘর থেকে টেনে মহিলাকে বাড়ির উঠোনে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
তবে গোপাল তিওয়ারির তা মানতে চাননি। বরং তাঁর দাবি, “আমার স্ত্রীকেই ওরা মারধর করেছে। হুজ্জুতি করেছে, পাঁচিল ভেঙে দিয়েছে। আমি আজ বলতে যাওয়ায় ঘরের ভিতর টেনে নিয়ে যায়। ৪-৫ জন আমাকে মারতে থাকে। মাথায় লেগেছে, আঙুল জখম হয়েছে। মহিলা, পুরুষরা জোর করে আমাকে ঘরে টেনে নিয়ে যায়। আমি আত্মরক্ষার জন্য হাত ঠেলে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করি।”
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন কালনার বিজেপি নেতা সুভাষ পাল। তিনি বলেন, “তৃণমূলের কাছে এটা নতুন কিছু না। তৃণমূল নেতারা করে খাওয়ার জায়গায় বাধা পেলেই নারী, পুরুষ সব ভুলে নির্যাতন করে চলেছে। তাদের লক্ষ্য যে কোনও উপায়ে মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে হবে এবং করে খেতে হবে।”
তবে কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, “ভিডিয়োটা আমি দেখেছি। মারামারি হচ্ছে এরকম একটা দেখা যাচ্ছে। আমি খোঁজ নিয়ে জানলাম গোপাল তিওয়ারি জায়গাটা কিনেছেন। পাঁচিল দেওয়ায় বারবার ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়েই গোলমাল। তবে আমি বলব আইন কারও নিজে হাতে তুলে নেওয়া ঠিক না। পুলিশ আছে, লিখিত অভিযোগ জানাতে পারত। আর মহিলাদের কথা বলছেন। মহিলারা হাত চালাচ্ছেন, ও হাত চালাচ্ছে। দু’দিক থেকেই অভিযোগ আসছে। গোপালও বলছেন, ওকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক এটাই বলব।”