নিজস্ব প্রতিনিধি, সল্টলেকঃ লকডাউনটা কবে হয়েছে বাংলায়৷ মুখেই যত লকডাউন। যারা ঘোষণা করেছেন তাঁরা মানছেন না। তাঁদের দেখাদেখি বাকিরাও মানছেন না। তাই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারকে আরও একবার কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এরাজ্যে কোনোদিনই আটকানো গেল না। কন্টিনিউ বেড়ে চলেছে। আজ হাজার ক্রস করেছে। মৃত্যু ২৫-৩০ হয়ে যাচ্ছে। সরকার এটার পরও কেন সতর্ক হয়নি? কেন মাসের পর মাস মুখে বাড়ানো হচ্ছে লকডাউন। কাজের কাজ কিছু তো হচ্ছে না।’’
প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, অন্যান্য রাজ্যও লকডাউন কড়াকড়ি ভাবে করেছে। একবার বাংলাতেও হোক। কিছু লোককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। সরকারের দলের লোকরা মানবেন না। তাঁদের লকডাউন নেই। তাহলে সংক্রমণ আটকানো যাবে কিভাবে?
https://youtu.be/BJ-dTbMWhaI
দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘মুখমন্ত্রী অফিসারদের ধমকাচ্ছেন৷ বলছেন তোমরা বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলছো। উনি সব ঠিক করে দেবেন। উনি বিশেষজ্ঞ হয়ে গিয়েছেন সব ব্যাপারে। বাকিদের কোনো কাজ নেই। সব পলিটিক্যাল ডিসিশন হয়ে যাচ্ছে। সেই জন্য কোনো রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো জিনিস থাকলে তারপর তো প্রহসন। লকডাউন হলই না।’’
‘‘অল পার্টি মিটিংয়ে দিদি বলছেন লকডাউন কি বাড়াব। আমরা বললাম লকডাউন হল কবে? লকডাউন তো হয়নি। উনি মানেননি ওনার লোকজনও মানেননি। এখন টিএমসির মিটিং মিছিল হচ্ছে মাইক লাগিয়ে। কিসের লকডাউন? লকডাউন তো তোলেনি কেউ? তিনমাস মানুষ কষ্ট করে বাড়ি থেকেছে। এবার যদি লকডাউন হয় সত্যি সত্যি করা হোক৷’’ দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির৷
তাঁর মতে, ‘‘কন্টেনমেন্ট জোন হলে ব্লক করা উচিত। সেখানে পুলিশ রাখা উচিত। মানুষ ভেবে নিয়েছেন মানার দরকার নেই। কিন্তু যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে৷ সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃত্যু বাড়ছে৷ সেটা আটকাবার কোনো রাস্তা নেই। যদি সরকার ঘোষণা করেন তাহলে তার নিয়ম পুরোপুরি করা উচিত।’’
বাংলায় লকডাউন কড়াকড়ি ভাবে করা উচিত। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পুলিশ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সরকারের কথাও কাজে অমিল। এরা বলছে পাঁচ হাজার বেড আছে। অথচ এক মেডিকেল কলেজের ডাক্তারের বাবাকে নিয়ে সারারাত ঘুরে সিট পাওয়া যাচ্ছে না। এমনটাই অভিযোগ দিলীপ বাবু৷