শনিবারও ওয়ানাড়ে (Wayanad Landslides) উদ্ধার অভিযান চলছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিকাশ রানা বলেন, “গতকালের মতো আজও আমাদের একই পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা বিভিন্ন অঞ্চল ভাগ করে নিয়েছি এবং দলগুলি সেখানকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। স্নাইপার কুকুর এবং বিজ্ঞানীরাও দলগুলির সঙ্গে গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে আমাদের সহায়তা করছেন।
ভূমিধসের ((Wayanad Landslides)) চতুর্থ দিনে পদবেট্টি কুন্নুর কাছে একটি বাড়ি থেকে চারজনের একটি পরিবারকে উদ্ধার করা হয়, যা বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে থাকা শত শত উদ্ধারকর্মীদের আশার আলো দেয়। ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি এলাকায় স্নাইপার কুকুরসহ প্রায় ৪০টি উদ্ধারকারী দল তল্লাশি চালাচ্ছে।
বন আধিকারিকরা উদ্ধার অভিযানের সময় একটি উপজাতি সম্প্রদায়ের চার শিশু এবং তাদের বাবা-মাকে উদ্ধার করেন। কালপেট্টা রেঞ্জের বন কর্মকর্তা কে হাশিশের নেতৃত্বে দলটি পরিবারকে উদ্ধার করতে বনের গভীরে যায়। একজন আধিকারিক বলেন, ‘আমরা রাডারে একটি সংকেত পেয়েছি যে কেউ শ্বাস নিচ্ছে। তারপর আমরা তাদের উদ্ধার করি।’
কেন্দ্রীয় সরকার কেরলের ওয়ানাড়ের ১৩টি গ্রাম সহ পশ্চিমঘাটের ৫৬,৮০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা (ইএসএ) হিসাবে ঘোষণা করার জন্য একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ওয়ানাডে ভূমিধসে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর একদিন পর এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
মেপ্পাড়িতে ৭০৭টি পরিবারের ২,৫৯৭ জন মানুষ ১৭টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা জুড়ে মোট ৯১টি শিবিরে প্রায় ১০,০০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে মানুষকে বাঁচানোর (Wayanad Landslides) ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী ১৯০ ফুট দীর্ঘ ‘বেইলি সেতু’ নির্মাণের কাজ শেষ করার পর তল্লাশি অভিযান গতি পেয়েছে।