বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ছে DVC থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। জল ছাড়তে হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও। ফলে, ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দামোদর তীরবর্তী এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নবান্ন(Nabanna)। গ্রীষ্মে জল চাইলে পাওয়া যায় না, কিন্তু ঝাড়খণ্ডে বর্ষা হলেই পশ্চিমবঙ্গকে ভাসানো হয়, অভিযোগ নবান্নর।
একটানা বৃষ্টি, সঙ্গে বিভিন্ন ব্য়ারেজ থেকে ছাড়া জলে ফুঁসছে দামোদর, অজয়, দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ। গ্রামের পর গ্রাম গৃহবন্দি মানুষ। কোথাও নদীবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কোথাও আবার থাকতে হচ্ছে জল থই থই বাড়িতেই।এরইমধ্য়ে জল ছাড়তে শুরু করেছে দামোদর ভ্য়ালি কর্পোরেশন, সংক্ষেপে DVC। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। ফলে, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে জল ছাড়ার পরিমাণ ।আজ সকাল পর্যন্ত পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন থেকে ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় সব মিলিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক। এই পরিস্থিতে, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার একাংশে দামোদর তীরবর্তী এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন।
নবান্নর তরফে গতকাল বলা হয়, DVC জল ছাড়ায় ফের বন্য়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। সেচের জন্য গ্রীষ্মে প্রয়োজনীয় জল চাইলে পাওয়া যায় না। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে বর্ষা হলেই জল ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায় গতকাল বলেন, “ডিভিসিও রাজ্য সরকারকে কিছু না জানিয়ে একতরফা ভাবে বিগত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রচুর জল ছাড়ছে। আগামী পাঁচ ছয় তারিখে হাইটাইড হাওড়া খানাকুল গোঘাট উদয়নারায়নপুর আমতা প্রভৃতি অঞ্চল কে এই ডিভিসির জল ছাড়ার সঙ্গে মিলিয়ে প্লাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা।” পাল্টা বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতেই ব্যারাজ থেকে জল ছেড়েছে DVC। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২দিনে রাজ্যকে ৪ বার ডিভিসি জল ছাড়ার বিষয়ে জানিয়েছে DVC। জল ছাড়া নিয়ে মিথ্যাচার। প্লাবনের আশঙ্কা তৈরির পুরো দায় রাজ্য সরকারের”