বন দফতরের মহিলা অফিসারকে শাসিয়ে এবং কুকথা বলে বিপাকে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি(Akhil Giri)৷ বন দফতর সূত্রে খবর, মহিলা অফিসারকে মন্ত্রীর শাসানির যে ভিডিও ফুটেজ সামনে এসেছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই নালিশ করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই ওই মহিলা অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা৷ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও বন দফতরের ওই মহিলা আধিকারিককে ফোন করেছিলেন৷ দল হিসেবে তৃণমূল যে মন্ত্রীর এই আচরণকে সমর্থন করছে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কুণাল৷
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন তাজপুর সমুদ্র সৈকতে বন দফতরের জায়গায় বেআইনি নির্মাণ সরানোকে কেন্দ্র করে৷ অভিযোগ, বন দফতরের জমিতে স্থানীয়রা দোকান এবং ঘর তৈরি করছিলেন৷ সেই খবর পেয়ে নির্মাণ আটকাতে ঘটনাস্থলে যান বন দফতরের রেঞ্জার পদমর্যাদার ওই মহিলা অফিসার৷ তখন সেখানে হাজির হন রাজ্যের কারামন্ত্রী এবং রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি৷ এর পরেই বেআইনি নির্মাণে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে ওই মহিলা অফিসারকে রীতিমতো শাসাতে থাকেন মন্ত্রী৷
যদিও নিজের আচরণের জন্য কোনও ভাবেই অনুতপ্ত নন রাজ্যের কারামন্ত্রী৷ বরং ওই মহিলা অফিসার বেআইনি নির্মাণে বাধা দিয়েছেন বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা দু মাসের জন্য ওই জায়গা চেয়েছিলাম, কিন্তু ওই মহিলা অফিসার কোনও কথা শুনতে চাননি৷ বাধ্য হয়ে আমি ওই কথাগুলি বলতে বাধ্য হয়েছি৷’
তবে এই বিতর্কে রাজ্যের মন্ত্রীর পাশে নেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ওই মহিলা অফিসারকে ফোন করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ পরে মন্ত্রীর আচরণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অখিল গিরি যে ভাবে কথা বলেছেন তা দল অনুমোদন করে না। মুখের ভাষা, শব্দ চয়ন, শরীরী ভাষার তীব্র নিন্দা করছি। এই আচরণ করে ঠিক করেননি। এগুলো আপত্তিকর। বন দফতরের জমিতে দোকান বা কাঠামো ছিল। বন দফতর বলার পরেও সরাননি। আবার নতুন করে শুরু করায় বন দফতর আপত্তি জানায়। তারপর অখিল গিরি কারামন্ত্রী যা আচরণ করেন তা নিন্দনীয়।