বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Political Crisis) নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সকাল ১০টায় এই বৈঠক হয়। এই বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সমস্যা (Bangladesh Political Crisis) নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারত সরকার বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Political Crisis) নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী নেতাদের কাছে কেন্দ্র এই তথ্য দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৩ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। তবে দেশের পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ নয় যে সেখানকার নাগরিকদের সরিয়ে নিতে হবে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, বিরোধীদের এ বিষয়ে জানানো হবে। সেখান থেকে প্রায় ৮ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী ফিরে এসেছেন। বাকি লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যে শেখ হাসিনা সম্পর্কে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে বিরোধীরা সন্তুষ্ট।
বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্যান্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিরোধী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, ভেনুগোপাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রিয়া সুলে প্রমুখ।
Briefed an All-Party meeting in Parliament today about the ongoing developments in Bangladesh.
Appreciate the unanimous support and understanding that was extended. pic.twitter.com/tiitk5M5zn
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) August 6, 2024
এক টুইট বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের কথা জানিয়েছি। জয়শঙ্কর এই বিষয়ে বিরোধীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সমর্থনের প্রশংসা করেছেন।
বৈঠকে রাহুল গান্ধী জানতে চান, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে (Bangladesh Political Crisis) কোনও বিদেশি হাত আছে কি? ভারতের কি কোনও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আছে? বাংলাদেশের নতুন সরকারের বিষয়ে ভারতের কর্মপরিকল্পনা কী হবে? বৈঠকে অন্যান্য প্রশ্নও উত্থাপিত হয়। তবে বিরোধীরা বলেন, ‘আমরা এই ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে আছি।