পিনাকী লাহা,ব্যারাকপুরঃ টিটাগড়ে কলেজ ছাত্রকে গুলি করে খুনের ঘটনায় টিটাগড় থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করল ২জন অভিযুক্তকে। মূল অভিযুক্ত আরিফ ইকবাল ওরফে ছোট্টু সহ তার সঙ্গী সুরজ আলি ওরফে রাজ কে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করে টিটাগড় থানার পুলিশ। তাদেরকে আজ ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে একটি গুলি। খুনের ঘটনায় যে আগ্নেয়াস্ত্রটি ব্যবহৃত হয়েছিল সেটির খোঁজ চালাচ্ছে টিটাগড় থানা পুলিশ।ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে টিটাগড় পৌরসভার ১৯ নম্বর ওর্য়াডের উড়ান পাড়া এলাকায় বাড়ির সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে বচসার জেরে খুন হতে হয় এক কলেজ পড়ুয়াকে। মৃত ছাত্রের নাম তৌফিক আলি, সে ব্যারাকপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।এই ঘটনায় ওই ছাত্রের পরিবার স্থানীয় ছোটু এবং রাজ এই দুই যুবকের নামে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করে গতকাল রাতেই । স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কলেজ ছাত্রের সঙ্গে প্রায় দিনই গাড়ি রাখা নিয়ে ঝামেলা বাঁধতো স্থানীয় ওই যুবকদের। ছোটু নামে ওই যুবক রোজই তৌফিকের বাড়ির সামনেই গাড়ি পার্ক করে অন্য বন্ধুদেরকে নিয়ে মদ্যপান করত। সেই নিয়ে আপত্তি করতেন তৌফিক।
বেশ কয়েকবার তৌফিককে হুমকিও দিয়েছিল ওই যুবক। শুক্রবার রাতেও একই কারণে বচসা বাঁধে তাদের।তৌফিকের সঙ্গে যাদের ঝামেলা শুরু হয়েছিল, তারা পরপর পাঁচটি গুলি করে। চারটি গুলি তৌফিকের বুকে লাগে। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে তৌফিক। অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তিনজন। স্থানীয় যুবক ছোট্টু ও তার দলবল পুরনো কোনও শত্রুতা থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ, আচমকাই প্রকাশ্য রাস্তাতেই একটি বন্দুক বার করে গুলি চালিয়ে দেয় ছোটু। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে তৌফিক। এরপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তৌফিককে বিএন বসু মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। খবর যায় টিটাগড় থানায়।ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে টিটাগড় থানার পুলিশ। গভীর রাতে মুল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আজ শনিবার ওই অভিযুক্তদের ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হয়।বিচারক অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।