Buddhadeb Bhattacharjee: প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। ৮০ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের নিজের ফ্ল্যাটেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এদিন সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট বেড়েছিল। অক্সিজেন দেওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি।

সূত্রের খবর, বুধবার রাতে বুদ্ধদেবের শ্বাসকষ্ট বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেটা রাতে সামাল দেওয়া হয়েছিল। তখনই ঠিক করা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ উডল্যান্ডসের চিকিৎসকেরা এসে তাঁকে পরীক্ষা করবেন। প্রয়োজনে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। কারণ, হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টিতে তাঁর ঘোর অনীহা ছিল। তাই চিকিসকদের পরামর্শের কথা ভাবা হয়েছিল। সেই মতোই বিষয়টি এগোচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন বুদ্ধদেব। সকালে উঠে প্রাতঃরাশের পর চা-ও খেয়েছিলেন। তার পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে নেবুলাইজ়ার দেওয়ার চেষ্টা হয়। সূত্রের খবর, সেই সময়েই তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয় দ্রুত। তাঁরা এসে বুদ্ধদেবকে প্রয়াত ঘোষণা করেন।

Ad. Radiant health care

বুদ্ধদেব মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাঁর পূর্বসূরি জ্যোতি বসুর মতোই মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন। সেই প্রক্রিয়া কোথায় এবং কী ভাবে সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। বুদ্ধদেবকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নিয়েও তাঁরা আলোচনায় বসবেন। বুদ্ধদেব পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন। ফলে দিল্লির নেতাদেরও তাঁর শেষযাত্রায় একটা ভূমিকা থাকবে। আপাতত পাম অ্যাভিনিউয়ের দু’কামরার ফ্ল্যাটেই তাঁর মরদেহ রাখা হচ্ছে।

২০১২ সাল থেকে রাজনীতির সঙ্গে  দূরত্ব বাড়াতে থাকেন বুদ্ধবাবু। ওই বছরই শারীরিক অসুস্থতার দরুন পার্টি কংগ্রেসে যেতে পারেননি তিনি। এরপর একে একে পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য কমিটির সদস্যপদ ছেড়ে দেন। নিজেকে কার্যত ঘরবন্দি করে ফেলেছিলেন। তবে ২০১৬ সালে তাঁকে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা গিয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। সেইসময় দলের অনুমতি ছাড়াই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির হন তিনি। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “বাম-কংগ্রেসের জোটের বিষয় বাংলার মানুষকে প্রত্যয়ী করে তোলা দরকার ছিল।”