প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট ভারতে স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) হিসাবে পালিত হয়। এই দিনে সারা দেশে আনন্দ ও উল্লাসের পরিবেশ থাকে। কিন্তু, ১৯৪৭ সালের আগে পর্যন্ত ভারত অন্য একটি দিনে স্বাধীনতা দিবস পালন করত।
আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, ১৯৪৭ সালের আগে স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) ১৫ই আগস্ট নয়, ২৬শে জানুয়ারি পালিত হত। এক দুই নয়, এটি ১৮ বছর ধরে চলেছিল। এর পিছনে ঐতিহাসিক কাহিনি রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে ১৯২৯ সালে লাহোরে কংগ্রেস অধিবেশনে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু এবং অন্যান্য নেতারা একসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অধিবেশনের সভাপতিত্বকারী পণ্ডিত নেহরু সকলের সামনে একটি প্রস্তাব পেশ করেন যে, ১৯৩০ সালের ২৬শে জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটিশ শাসকরা যদি ভারতকে তার অধিকার না দেয়, তাহলে ভারত নিজেকে স্বাধীন (Independence Day) ঘোষণা করবে। সেদিন থেকেই কংগ্রেস ২৬শে জানুয়ারীকে পূর্ণ স্বরাজ দিবস অর্থাৎ হিসাবে ঘোষণা করে। স্বাধীনতা দিবস। কিন্তু ব্রিটিশরা হাল ছাড়েনি, তাই ভারতে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
১৯২৯ সালের কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ২৬শে জানুয়ারি সারা দেশে স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) হিসেবে পালিত হবে। মহাত্মা গান্ধী এই বার্তা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১৯৩০ সালের ২৬শে জানুয়ারি সারা দেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে প্রথমবার শান্তি ও সদিচ্ছার সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। ভারতীয়দের এই সমাবেশ ব্রিটিশদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়। যাইহোক, জনতা বাপুর কথা রেখেছিল এবং হিংসা ও কোলাহল ছাড়াই স্বাধীনতার জন্য তাদের উৎসাহ প্রদর্শন করেছিল। পন্ডিত নেহরুও এই দিনে লাহোরে রাভি নদীর তীরে ত্রিবর্ণ পতাকা উত্তোলন করেন।