ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের (Jammu-Kashmir Elections) জন্য তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। ইস্তাহার কমিটির সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন নেতাদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লাহ এই নথিটি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এটি শুধু একটি নির্বাচনী নথি নয়। যখন সবাই এটি পড়বে, তখন তারা বুঝতে পারবে যে এটি সম্পূর্ণরূপে প্রশাসনের এজেন্ডা। এটি একটি পাঁচ বছরের রোডম্যাপ এবং এর বাস্তবায়ন জম্মু ও কাশ্মীরে পরিবর্তন আনবে। আগে অনেকেই পরিবর্তনের কথা বলতেন, কিন্তু আমরা প্রতারিত হয়েছি।”
ওমর বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের বেকারত্বের পরিস্থিতি আমরা সবাই জানি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি হয়েছিল এবং যুবকরা চাকরি পাননি। আমরা যুবকদের কাছে বড় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং বেকারত্বের সমস্যা সমাধান করতে চলেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা জল ও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করব এবং ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেব। কিছু লোক এর চেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি দেবে কিন্তু তাতে কোনও ফায়দা নেই, কারণ তারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় (Jammu-Kashmir Elections) থাকবে না।”
জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান মুখপাত্র তানভীর সাদিক বলেন, “আমাদের গ্যারান্টি হল স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা। আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ উন্নত করার চেষ্টা করব। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক নেতা এবং যুবকদের মুক্তি দেব। যাদের পাসপোর্ট যাচাইকরণ মুলতুবি রয়েছে, তাদেরও আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করব।”
অনুচ্ছেদ ৩৭০ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি ২০০০ সালে তৎকালীন বিধানসভা কর্তৃক গৃহীত স্বায়ত্তশাসন প্রস্তাবের বাস্তবায়ন আসন্ন নির্বাচনের জন্য ন্যাশনাল কনফারেন্সের ইস্তেহারে (Jammu-Kashmir Elections) ঘোষিত ১২টি গ্যারান্টির মধ্যে রয়েছে। ইস্তেহার প্রকাশ করে এনসি-র সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লাহ বলেন, দল কেবল সেই প্রতিশ্রুতিই দিচ্ছে যা তারা পূরণ করতে পারে। তিনি ইস্তেহারটিকে এনসি-র ভিশন ডকুমেন্ট এবং প্রশাসনের জন্য একটি রোডম্যাপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইস্তেহারে ২০০০ সালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা কর্তৃক গৃহীত স্বায়ত্তশাসন প্রস্তাবের সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা সহ ১২টি বিস্তৃত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের নথিতে বলা হয়েছে, “আমরা ৩৭০-৩৫এ ধারা এবং ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের আগের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।”